খেলা হবে স্লোগান এবার মমতার মুখে, গোলরক্ষার দায়িত্বে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী নিজেই
তৃণমূল (trinamool congress) নেতাদের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল খেলা হবে স্লোগান। তারপর তা ব্যবহার করে বিজেপি (bjp)। নবান্ন অভিযানের আগে বাম ছাত্র যুবরাও খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিল। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) সেই স্লোগান দিলেন। তিনি জানালেন খেলা হলে তিনি গোলরক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।


প্রতিশ্রুতি দিই না, কাজ করে দেখাই
এদিন উত্তীর্ণে স্বেচ্ছাসংস্থাগুলির এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রতিশ্রুতি দেন না, কাজ করে দেখান। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির সরকার অনেক এনজিও-র লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে। সঙ্গে তিনি বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে যতগুলি সংস্থা এসেছে, সবার লিস্ট তিনি চান। নিজের সরকার ফের ক্ষমতায় ফিরবে দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী দিনে তিনি এনজিও ও ধর্মীয় সংস্থাগুলিকে কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন, আজ যারা সমর্থন দেবে, ভবিষ্যতে তিনি তাদের সমর্থন করবেন।

বাংলা সবার জন্য মুক্তদ্বার
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাংলা সবার জন্য মুক্তদ্বার। অমিত শাহের রাজ্য সফরে আসা প্রসঙ্গেই তিনি এই মন্তব্য করেন। তবে এদিন তাঁর মুখে বহিরাগত বিষয়টি আসেনি। বাংলা সবার জন্য মুক্ত বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাসের কথাও তুলে এনেছেন। তাহলে কি তৃণমূল বহিরাগত বিতর্ক তুলে রাখতে চাইছে, এদিনের তৃণমূল সুপ্রিমোর পদক্ষেপের পর অনেকেই সেই প্রশ্ন তুলছেন।

চোরের মায়ের বড় গলা
বিজেপি নেতারা নাম না করে পিসি-ভাইপো বলে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর রাজ্যে আসা অমিত শাহ থেকে জেপি নাড্ডার মতো নেতারা বুয়া-ভাতিজা বলে আক্রমণ করছেন। এদিন তারই জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন তাঁকে ও অভিষেককে ভাতিজা-বুয়া বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। কিন্তু গত ছয় বছরে অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সম্পত্তি শত শত গুন বাড়ল কী করে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিজেকে ফের একবার স্ট্রিট ফাইটার বলে বর্ণনা করেন। বলেন দিদি কো যো টকরায়েগা, চুড়চুড় হো জায়ে গা।

খেলা হবে স্লোগান
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল খেলা হবে স্লোগান। উত্তীর্ণের অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, হয়ে যাক খেলা। গণতন্ত্রের খেলা। রাজনীতির খেলা। সেই খেলায় বিজেপি সঙ্গে নিয়ে নিক রাজ্যে বাম-কংগ্রেসকে। ফের রাজ্যের বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে তিনি জগাই-মাধাই-গদাই বলে কটাক্ষ করেন। বলেন খেলা হোক ব্রিগেডে। আর তিনি থাকবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। দেখা যাবে সবাই মিলে কটা গোল দিতে পারে। তিনি বলেন, তৃণমূল এখন মহীরুহ। পাথরে পেরেক পুঁততে গেলে যেমন ভেঙে যায়, ঠিক তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হবে তৃণমূলকে সরাতে গেলে।
সব থেকে আগে খেলা হবে স্লোগান উঠেছিল ওপার বাংলায়। তারপর দিন কয়েকআগে তুলেছিলেন তৃণমূল নেতারা। যা নিয়ে স্লোগানও তৈরি করে ফেলে যুব তৃণমূলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। যা ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর বিজেপির তরফেও পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, খেলা হবে, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এরই মধ্যে বাম-ছাত্রযুবরাও নবান্ন অভিযানের আগে স্লোগান দেয় খেলা হবে। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নবান্নের কাছে পৌঁছে যাবে ছাত্রযুবরা। এদিন অবশ্য সেই খেলা দেখা গিয়ে, কয়েকজন তো নবান্নের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
মমতার আড়ালে রিমোট আসলে পিকের হাতে, কীভাবে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি করছে আই-প্যাক?