প্রার্থীকে জেতানোর চাবিকাঠি তাঁদের হাতেই, নির্বাচনী সভায় বিস্ফোরক আরাবুল
খোদ ভাঙড়ের তৃণমূল (trinamool congress) প্রার্থী হাজির হয়েছিলেন আরাবুল ইসলাম (arabul islam) বাড়িতে। কিন্তু তারপরেও যে আরাবুলের মনে অভিমান রয়ে গিয়েছে, তা আরও একবার প্রকাশ করলেন ভাঙড়ের তাজা নেতা আরাবুল ইসলাম। দলের কথ
খোদ ভাঙড়ের তৃণমূল (trinamool congress) প্রার্থী হাজির হয়েছিলেন আরাবুল ইসলাম (arabul islam) বাড়িতে। কিন্তু তারপরেও যে আরাবুলের মনে অভিমান রয়ে গিয়েছে, তা আরও একবার প্রকাশ করলেন ভাঙড়ের তাজা নেতা আরাবুল ইসলাম। দলের কথা তাঁরা শোনেন, কিন্তু দল তাঁদের কথা শোনে না বলে এদিন নির্বাচনী সভায় মন্তব্য করেছেন তিনি।
একমঞ্চে বিবাদমান সবপক্ষ
এবার ভাঙড় জিততেই হবে। যে কারণে তৃণমূল প্রার্থী করেছে চিকিৎসক রেজাউল করিমকে। এক্ষেত্রে তিনি বহিরাগত। তবুও বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ খেলার মাঠে হওয়া নির্বাচনী সভায় একইসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন, আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, নানু হোসেন এবং ওহিদুল ইসলামরা। এই সভায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, শক্ত ঘাঁটি ভাঙড় থেকে তৃণমূলের প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
দলের প্রতি অনুযোগ আরাবুলের
বাম জমানায় বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের দশ বছরের শাসনে পঞ্চায়েতের শীর্ষপদেই থেকে যেতে হয়েছে আরাবুলকে। ২০১১-তে সিপিএম প্রার্থীর কাছে হেরেছেন। আর ২০১৬-তে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল বাম জমানায় মন্ত্রী থাকা আব্দুল রেজ্জাক মোল্লাকে। তাঁকে মন্ত্রীও করে তৃণমূল। আরাবুলের দাবি গত পাঁচ বছরে ভাঙড়ের এই বিধায়ক এলাকায় পাওয়া যায়নি। যা পরিস্থিতি আগামী পাঁচ বছরও হয়ত বিধায়ককে পাওয়া যাবে না।
পাকিস্তানের লোককে প্রার্থী করলেও জেতাবেন তাঁরাই
এদিন আরাবুল ইসলাম বলেছেন তাঁরা দলের কথা শোনেন। কিন্তু দল তাঁদের কথা শোনে না। তবে প্রার্থীকে জেতানোর চাবি-কাঠি যে তাঁদের হাতেই তা স্পষ্ট করে দেন তিনি। আরাবুল বলেন, পাকিস্তানের লোককে দল ভাঙড়ে প্রার্থী করলেও তাঁরাই জেতাবেন। আরাবুল এই ধরনের মন্তব্য করলেও বাকি কাইজার আহমেদ, নানু হোসেন এবং ওহিদুল ইসলামরা কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে। কেননা নান্নু হোসেন বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও মুখ্যমন্ত্রী করতে দলের প্রার্থীকে জেতাতে হবে। সবাইকে ময়দানে নামার আহ্বানও করেছেন তিনি।
প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন আরাবুল
দলের প্রার্থী তালিকা টিভির পর্দায় শুনেই ক্ষুব্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আরাবুল বলেছিলেন, দলের কাছে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। দলের প্রার্থীর প্রচারে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আইএসএফ কিংবা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছিলেন। কিন্তু সূত্রের খবর অনুযায়ী, আইএসএফ তাঁকে দলে নিতে অস্বীকার করে এবং বিজেপি তাঁকে দলে নিতে চাইলেও, টিকিটের নিশ্চয়তা দেয়নি। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, আরাবুলের অন্য আশঙ্কাও ছিল। দল ছাড়লে পরিবার রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। সব কিছু চিন্তা ভাবনা করেই আরাবুল দলের প্রার্থীর প্রচারে অংশ নিতে শুরু করেছেন।