মমতার জয়কে স্বাগত! দান-ধ্যান নয়, সরকার নজর দিক শিল্প-কর্মসংস্থানে, বলছে শিল্পমহল
মমতার জয়কে স্বাগত! দান-ধ্যান নয়, সরকার নজর দিক শিল্প-কর্মসংস্থানে, বলছে শিল্পমহল
রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তৃতীয়বার জয় পেয়েছে। তাতে খুশি রাজ্যের শিল্পমহল (industrialist)। এদিকে তারা যেমন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, অন্যদিকে আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে নতুন শিল্পস্থাপন (industry) এবং কর্মসংস্থানের (employment) কাজ ত্বরান্বিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বাগত রায়
রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে শিল্পমহল। তাদের অনেকের আশা ১০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী ৫ বছরে রাজ্যে শিল্পস্থাপন এবং কর্মসংস্থান হবে। এই রায়ে রাজ্যের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শিল্পপতিদের কেউ কেউ।
নীতি-নেতৃত্ব ও প্রকল্পে আস্থা
রাজ্যের শিল্পপতিদের একাংশ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব, রাজ্য সরকারের নীতি আর রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির ওপর বিশ্বাস ও ভরসা রয়েছে। রাজ্য সরকার প্রান্তিক মানুষদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। পাশাপাশি শিল্পের স্বার্থে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। যা আগামী ৫ বছর রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ভাবতে হবে শিল্পের কথা
শিল্পপতিদের কেউ কেউ বলেছেন, রাজ্য সরকারকে শিল্পের কথা আরও বেশি করে ভাবতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এই সরকার কাজ করেছে। ক্ষুদ্রশিল্পের জন্য ঋণেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি শিল্প সম্মেলন করে দেশি-বিদেশি শিল্প সংস্থাকে রাজ্যের লগ্নির আহ্বানে ফলও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন শিল্পপতিদের একাংশ।
পরিকাঠামো বাড়াতে হবে
শিল্পপতিরা বলছেন, রাজ্যে শিল্পের পরিকাঠামো আরও বাড়াতে হবে। তা করতে গেলে ১০ বছরের অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলে যেসব সমস্যা রয়েছে, তাও দ্রুত কাটিয়ে ওঠা যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। এব্যাপারে শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি যোগসূত্রের কথাও বলেছেন কেউ কেউ।
দান-ধ্যান নয়, সরকার নজর দিক কর্মসংস্থানের ওপরে
তবে রাজ্যের শিল্পপতিদের অনেকে মনে করেন, দান-ধ্যান নয় কর্মসংস্থানের ওপরে নজর দিক রাজ্য সরকার। রাজ্যে আইনের শাসন বজায় রাখার পাশাপাশি মানুষ যাতে রুটি-রুজির পরিবেশ পায় সেটা দেখতে হবে। কেননা কর্মসংস্থান তৈরি হলেই মানুষের ক্রয়ের ক্ষমতা বাড়বে। ব্যবসারও উন্নতি হবে।