রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসে মতুয়া পরিবারগুলির ওপরে হামলার অভিযোগ! কীভাবে প্রতিরোধ, উপায় বললেন বিজেপি সাংসদ
রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসে মতুয়া পরিবারগুলির ওপরে হামলার অভিযোগ! কীভাবে প্রতিরোধ, উপায় বললেন বিজেপি সাংসদ
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁতেই হোক কিংবা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে দলের কর্মীদের ওপরে হামলা, বাড়িতে লুটপাট এমন কী হত্যার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি। এদিন এক ভিডিও বার্তায় এসবের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন বনগাঁর বিজেপি (bjp) সাংসদ শান্তনু ঠাকুর(shantanu thakur)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করে তিনি বলেছেন, প্রশাসন কিছু না করলে প্রতিরোধে দলের কর্মীদেরই রাস্তায় নামাতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ
এক ভিডিও বার্তায় বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করবেন, ফল বেরনোর পরে সারা রাজ্য জুড়ে যেভাবে বিজেপির কর্মী এবং সাধারণ মানুষের ওপরে অত্যাচার করা হচ্ছে, যে ভাবে গণহত্যা চলছে, তা যেন বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়।
একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ
তিনি আরও বলেছেন, প্রশাসনকে বলুন রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস, লুট বন্ধ হোক। তিনি বলেছেন, একটি সম্প্রদায় পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সেটা তৃণমূল জেতার বহিপ্রকাশ বলেও মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি সাংসদ। এভাবে চলতে থাকলে পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংঘর্ষ অনিবার্য। তাঁর অভিযোগ বেছে বেছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি-টাকা লুট করা হচ্ছে। গণহত্যার প্রক্রিয়াও চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এভাবে চলতে থাকলে বাংলায় কেউ সুস্থ থাকতে পারবে না।
বিজেপি কর্মীদের প্রতি আবেদন
বনগাঁ লোকসভার পাশাপাশি রাজ্যের সব বিজেপি কর্মীদের কাছে তিনি বলেছেন, যদি এমন অমানবিক কাজ চলতে থাকে, তাহলে তারা যেন চুড়ি পরে বসে না থাকেন। প্রশাসন না নামলে প্রতিরোধে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি বনগাঁর কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে বিজেপি জেতায় বিজেপি কর্মীদের ওপরে, মতুয়া পরিবারগুলির ওপরে হামলা করা হচ্ছে। যা বাংলার শিক্ষা নয়, মন্তব্য করেছেন তিনি।
হাওয়া তিনি ঘোরাবেনই! বুঝতে হবে হিন্দুদের, ফাঁস হওয়া অডিওতে কর্মীদের আর কোন বার্তা শুভেন্দুর
প্রশাসনের কাছে আবেদন
প্রশাসনের কাছে করা আবেদনে বনগাঁর সাংসদ বলেছেন, এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘনটা বন্ধ করুন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। না হলে গোষ্ঠী সংঘর্ষের একটা জায়গা প্রশাসনই তৈরি করে দিচ্ছে। আর তা হলে, প্রশাসনই সব থেকে বেশি দায়ী হবে। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসও দায়ী হবে।