CoronaUpdate: গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু বাড়লেও ফের কিছুটা বাংলায় কমল করোনার সংক্রমণ
পশ্চিমবঙ্গে করোনা বিধিনিষেধের সময়সীম বাড়ানো হল। এতদিন পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ ৩০ জুলাই পর্যন্ত ছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত করা হল। তবে জানানো হয়েছে এখনই স্কুল খুলছে না। সরকারি দফতরে ৫০% হাজিরা নিয়ে কাজ করতে
পশ্চিমবঙ্গে করোনা বিধিনিষেধের সময়সীম বাড়ানো হল। এতদিন পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ ৩০ জুলাই পর্যন্ত ছিল। এবার তা বাড়িয়ে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত করা হল। মূলত তৃতীয় ওয়েভ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। আর সেই আশঙ্কা থেকেই নতুন করে করোনা বিধি নিষেধ আরও কড়া করা হচ্ছে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমণ এক হাজারে নীচে থাকলেও মৃতের সংখ্যা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও ধরনের জমায়েত কিংবা বিধি নিষেধকে অমান্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৬ জন। যা নিঃসন্দেহে চিকিৎসকদের কাছে স্বস্তির খবর। তথ্য বলছে, বুধবার যেখানে করোনা সংক্রমণ ছিল ৮১৫ জন। সেখানে আজ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে সংক্রমনের হার।
বুলেটিনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫, ২৬, ৫৩৯জন। তবে মৃতের সংখ্যা ভাবাচ্ছে রাজ্যের চিকিৎসকদের। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ফের বেড়েছে মৃতের হার। তথ্য অনুযায়ী ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বাংলাতে মোট করোনাতে মৃতের সংখ্যা ১৮,১২৩ জন।
তবে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থতার হারও স্বস্তিরতে রেখেছে চিকিৎসকদের। গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে জয় করেছেন ৮২২ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৪,৯৭,১১৬। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.০৭ শতাংশ।
শুধু সুস্থতার হার নয়, কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। প্রায় ৭০ জন কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৩০০ জনে। চিকিৎসকদের মতে, দেশের অন্য প্রান্তে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে চলেছে। সেখানে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রনে রয়েছে সংক্রমণ। তবে এই সমস্ত নিয়ম ভঙ্গ বিপদের দিকে বাংলাকে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা।
আর সেই আশঙ্কাতে নতুন করে বিধি নিষেধ জারি করা হিয়েছে। বিশেষ করে রাত ৯টা থেকে আরও কড়া হওয়ার জন্যে পুলিশকে বলা হয়েছে। নির্দেশিকাতে সরাসরি নৈশ কার্ফুর কথা বলা না হলেও, রাত নটা থেকে সকাল ৫ টার মধ্যে মানুষ ও গাড়ির যাতায়াতের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন, পুলিশ কমিশনারেট এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে, যাতে এই বিধিনিষেধ মান্য করা হয়। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ২০০৫ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। দোকান-বাজার চালু কিংবা বন্ধের ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও সময়সীমা ধার্য করা হয়নি।
তবে যাঁরা আশা করেছিলেন অগাস্টের শুরু থেকে লোকাল ট্রেন চলতে পারে, তাঁদের একটু নিরাশই হতে হয়েছে। কেননা, নির্দেশিকায় এব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।