উপনির্বাচনে ফলাফল অন্য রকম হতে পারত! কিন্তু কীভাবে? বোঝালেন সেলিম
একুশের নির্বাচনের পর থেকেই সিপিএম কামব্যাকের রাস্তা খুঁজছিল। উপনির্বাচন ও পুরসভা নির্বাচনে বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে সিপিএম। আর ফিরে আসার এই আভাস পেয়েই সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে নিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ। তা যে
একুশের নির্বাচনের পর থেকেই সিপিএম কামব্যাকের রাস্তা খুঁজছিল। উপনির্বাচন ও পুরসভা নির্বাচনে বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে সিপিএম। আর ফিরে আসার এই আভাস পেয়েই সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে নিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ। তা যে বৃথা যায়নি, বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলই তার প্রমাণ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে চলে এল বামেরা। যা অবশ্যই বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে বামেদের। আর এই ফলাফল সামনে আসার পরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মহম্মদ সেলিম।
বাবুল সুপ্রিয় এবং শত্রুঘ্ন সিনহাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সবাই বলবে তৃণমূল জিতল। তবে আমি বলব ফর্মার বিজেপি জিতেছে। এটাই রাজনীতি বলেই ব্যাখ্যা সেলিমসাহেবের। বারবার ভোটের সময়ে একটা সাম্প্রদায়িক বাতাবরণ তৈরি করা হয়। এবারও করা হয়েছিল বলে মত তাঁর।
তবে বিধানসভার কথা উল্লেখ করে সেলিম বলেন, সেই সময় এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হয় যে লড়াই যেন তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। তবে কি হল? ফলাফল প্রকাশ হতেই এদিক-ওদিক হয়ে গেল। বালিগঞ্জ নির্বাচনের সময় মানুষ কিছুটা বুঝেছে বলে দাবি বর্ষীয়ান এই বাম নেতার।
বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভাতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বামেদের ভোট যথেষ্ট আশা দেখাচ্ছে। তবে এবারও তেমন কিছু করে দেখাতে পারল না বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কাজে আসল না সুকান্ত-শুভেন্দুর স্ট্রেটেজি। আর এই অবস্থাকে তীব্র কটাক্ষ শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই। তবে এই ফলাফল সামনে আসার পরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সেলিম।
সেখানে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার মতো কিছু লোক থাকে। ভোটের সময়ে তাঁদের ব্যবহার করা হয়। আর তাঁরা ভোটের সময় মানুষের ভাবনা চিন্তাকে প্রভাবিত করেছে বলে দাবি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের। মানুষ যাতে আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যায় সেই কারণে এই কাজ বলে অভিযোগ। ভোটের হার এত লো হয়নি বলেও এদিন দাবি করেন সেলিম।
তাঁর মতে, মানুষের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। মানুষ ভাবছে যা হচ্ছে তাই তো হবে। যা মোটেই গণতন্ত্রের জন্যে ভালো না বলে দাবি তাঁর। আর সেই হতাশা কাটানোর লক্ষ্যে কাজ বামেরা কাজ করবে বলে দাবি বামনেতার। তবে এই নির্বাচনে আরও মানুষের যদি অংশগ্রহণ করানো যেত তাহলে ফলাফল অন্য রকম হত বলে মন্তব্য সেলিমসাহেবের। তবে দলের সংগঠনকেও ভালো ভাবে মজবুত করার কাজ করা হবে বলেও এদিন জানান তিনি।
অন্যদিকে শায়রা শাহ হালিম বলেন, তৃণমূলের বিকল্প যদি কেউ থাকে তাহলে তা বামেরা। সেটা প্রমাণিত। তবে সন্ত্রাস, হেনস্তা উপেক্ষা করেও বামেরা যেভাবে ভোট দিয়েছে সেজন্যে মানুষকে ধন্যবাদ জানান শায়রা।