সিএএ, এনআরসি নিয়ে তফাত এবার অমিত শাহ আর বাবুলের মন্তব্যে, প্রশ্ন বিরোধীদের
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রচার পুস্তিকা সামনে আনল রাজ্য বিজেপি। এই প্রচার পুস্তিকার মাধ্যমে নতুন আইনের স্বপক্ষে জনমত গোড়ে তোলা যাবে বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রচার পুস্তিকা সামনে আনল রাজ্য বিজেপি। এই প্রচার পুস্তিকার মাধ্যমে নতুন আইনের স্বপক্ষে জনমত গোড়ে তোলা যাবে বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এই বইয়ের শেষ পাতায় বলা হয়েছে এর পরে এনআরসি। সঙ্গে বলা হয়েছে সেটাই নাকি কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব।
বিরোধীদের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল
সিএএ নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে জায়গায় জায়গায় প্রচার শুরু করেছে বিজেপি। সঙ্গে এবার এসেছে প্রচার পুস্তিকা। তবে সেই প্রচার পুস্তিকার শেষ পাতায় ছোট্ট একটি কথাই বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করবে। সেখানে প্রশ্নে বলা হয়েছে, এর পর কি এনআরসি। উত্তরে বা হয়েছে হ্যাঁ, এর পরে এনআরসি। অন্তত কেন্দ্রী. সরকারের মনোভাব সেরকমই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই কথা দেওয়ার মাধ্যমে একদিকে যেমন বিরোধীদের ওপর চাপ বাড়ানো যাবে, অন্যদিকে এনআরসি নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মনোবলও চাঙ্গা করানো যাবে।
মোদী-অমিত শাহের ভিন্ন মত
এর আগে এনআরসি নিয়ে মোদী অমিত শাহের ভিন্ন মত লক্ষ্য করা গিয়েছে। সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন সারা দেশেই এনআরসি চালু করা হবে। অন্যদিকে, সারা দেশে সিএএ, এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে জেরে প্রধানমন্ত্রী জানান, এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই করা হয়নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুই মত কৌশলগত।
ডি ভোটার তালিকায় নাম না রাখার আশ্বাস
বিজেপির প্রকাশিত পুস্তিকায় বলা হয়েছে, সিএবি পাশ হয়ে যাওয়ার পর এনআরসি হলে, ডি ভোটার তালিকায় কোনও হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান কিংবা কোনও পার্সির নাম থাকবে না।
অমিত শাহ-বাবুলের ভিন্ন মত
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত ১৪ টি নথি থাকলেই নাগরিকত্বের প্রমাণ হয় না। যদিও সিএএ নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশের অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন, কোনও ভারতীয়কে কাগজ দেখাতে হবে না। শাসকদলের দুই নেতার বক্তব্যে তফাত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও করেছেন বিরোধীরা।