কোনও হুঁশিয়ারি নয়, করজোড়ে ক্ষমা চাইলেন! আদর্শ আচরণবিধি লাগু হতেই বিতর্কে অনুব্রত
'যদি আমি কিছু ভুল বলে থাকি, তাহলে আমি জোড়হাত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।' এদিন এভাবেই সবাইকে অবাক করে দলের ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আজ বীরভূমের বোলপুরে হাতুড়ে জাক্তারদের নিয়ে কর্মী সম্মেলন করেন অনুব্রত মণ্ডল।
'আমি জোড়হাত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি'
এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'যদি আমি কিছু ভুল বলে থাকি, তাহলে আমি জোড়হাত করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনারাই ভগবান। আপনারাই আল্লা। যাঁরা গ্রামীণ ডাক্তার, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, আপনারা সবাই মিলে এই ভোটটা করিয়ে দেবেন । আপনাদের কাছে জোড়হাত করে বলছি।'
'২৯৪ দফায় ভোট হোক রাজ্যে'
তিনি আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র। ২৯৪ দফায় ভোট হোক। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু অমানবিক বেনজির সিদ্ধান্ত কমিশনের। কেন্দ্র বাহিনীর জওয়ানরাও হয় আমার, না হয় কারও না কারও বাড়ির ছেলে, ভাই বা দাদা। এই কাঠফাটা গরমে তারা কষ্ট পাবে। আট দফায় নির্বাচন ঠিক নয়।'
অনুব্রত মণ্ডলের সভা ঘিরে বিতর্ক
উল্লেখ্য গতকাল বিকেল পাঁচটার পর থেকে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে বিতর্কে অনুব্রত মণ্ডল। স্কুল চত্বরে অনুব্রত মণ্ডলের সভা ঘিরে বিতর্ক। বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতির সভা ছিল। অভিযোগ, তাঁর সভার জন্য আগেভাগে স্কুলের তরফে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
অনুব্রতকে নজরবন্দি
গতকাল ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরমধ্যে অনুব্রতর সভা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে আজ দুপুর দেড়টার পর সভা করার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। শনিবার হওয়ায় স্কুল দুপুর দেড়টায় ছুটি হওয়ার কথা। অভিযোগ, সময়ের আগে সভা শুরু করে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বাধ্য হয়ে পড়ুয়াদের সময়ের আগে ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। এদিকে এরই মধ্যে অনুব্রতকে নজরবন্দি করার কথা জায়া গিয়েছে নির্বাচন কমিশন মারফত।