ভোটের মুখে নন্দীগ্রামে বেকায়দায় তৃণমূল, আদালতের নির্দেশে একের পর নেতার গ্রেফতারির আশঙ্কা
২০২১-এর নির্বাচনে সারা দেশের নজর নন্দীগ্রামে (nandigram)। কেননা এই আসনে লড়াই মুখ্যমন্ত্রী ( mamata banerjee) বনাম একদা তারই দলের অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhijari) লড়াই। সেই লড়াইতেই এবার ব্যাকফুটে ত
২০২১-এর নির্বাচনে সারা দেশের নজর নন্দীগ্রামে (nandigram)। কেননা এই আসনে লড়াই মুখ্যমন্ত্রী ( mamata banerjee) বনাম একদা তারই দলের অন্যতম সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhijari) লড়াই। সেই লড়াইতেই এবার ব্যাকফুটে তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। আদালতের নির্দেশে একের পর নেতার গ্রেফতারির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এর পিছনে শুভেন্দু অধিকারীর হাত দেখছে তৃণমূল।
আছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, রয়েছে তাপপ্রবাহের বার্তাও, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস একনজরে
নন্দীগ্রামের মামলা প্রত্যাহার করেছিল রাজ্য সরকার
গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে যুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। কেননা ক্ষমতায় আসার সময়েই মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। চার্জশিট জমা হয়ে গেলেও অভিযোগ প্রত্যাহারে সরকারি আইনজীবীরা আপত্তি না করার মামলাগুলি প্রত্যাহারের পথে চলে যায়। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন প্রায় সাড়ে চারহাজার পরিবার দীর্ঘ লড়াই থেকে মুক্তি পেয়েছে। আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে তাঁর দায়বদ্ধতা ছিল। সেই প্রতিশ্রুতি রাখায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান। তবে সিপিএম-এর তরফে বলা হয়েছিল ভোট সামনে আসায় পুলিশ ও প্রশাসনকে দিয়ে পদক্ষেপ করিয়েছে তৃণমূল।
আদালতে জনস্বার্থ মামলা
যদিও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দকুমার বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী নীলাঞ্জন অধিকারী। ৫ মার্চ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ফের মামলাগুলি চালু করার নির্দেশ দেয়। যা নিয়ে সোমবার হলদিয়া আদালতে শুনানি হয়। আর সন্ধেয় রায় দেন বিচারক। নীলাঞ্জন অধিকারীর অভিযোগ, যেভাবে অভিযুক্তদের ওপর থেকে মামলা তোলা হয়েছিল, তা আইন মেনে হয়নি। সেই কারণেই আদালতের গ্রেফতারির নির্দেশ।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ
সরকারি কাজে বাধা, হিংসা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে ৪০৬ টি মামলা হয়েছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে একটি বাদ দিয়ে সবগুলি গতবছর প্রত্যাহার করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সোমবার আদালতের নির্দেশের জেরে অভিযুক্তদের জামিন নাকচ হয়ে যায়। গ্রেফতারিরও নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের শেখ সুফিয়ান, আবু তাহেরের মতো নেতারা। ফলে নির্বাচনের আগে এই নির্দেশের জেরে বেকায়দায় পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শুভেন্দুর হাত দেখছে তৃণমূল
পুরো বিষয়টি পিছনে শুভেন্দু অধিকারীর হাত দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। শেখ সুফিয়ান শুভেন্দু অধিকারীকে এনিয়ে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন বিজেপির আসল রূপ বেরিয়ে পড়ছে। বিজেপি যে এই আন্দোলনকে সমর্থন করেনি এতেই প্রমাণ হয়ে গেল। অন্যদিকে আবু তাহের বলেছেন এই মামলাগুলি ছিল বাম সরকারের মিথ্যা মামলা। দুজনেই বলছেন আইন মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তারা উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।