অধীর চৌধুরির জামিনের বিরোধিতা, হাই কোর্টে রাজ্য সরকার
তিনটি ভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত অধীর চৌধুরি জামিন পেয়েছেন সবক'টিতেই
২০১১ সালে বহরমপুরে তৃণমূল কর্মী কালাম শেখ হত্যাকান্ডের চার্জশিটে অধীর চৌধুরিকে অভিযুক্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে বহরমপুর আদালাত। এর পর বহরমপুর জেলা দায়রা আদালত পুজোর আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জর করেছিল। অধীরের আগাম জামিনের আবেদন গ্রাহ্য হবে কি না বার কাউন্সিলের কর্মবিরতির কারণে তা নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে শুনানি সম্ভব হয়নি। এরপরই অধীরের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয় ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত। বহরমপুর দায়েরা আদালতের সেই রায়ের বিরোধিতা করেই এদিন হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি নিশিথা মাত্রে ও ইন্দ্রজিত চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করেছে।
সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেই অধীর চৌধুরির জামিন বহরমপুর আদালত মঞ্জর করেছে। কিন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিয়ামানুযায়ী অপরাধের ক্ষেত্রে পদাধিকার দেখা হবে না। সেই যুক্তিতেই রাজ্য হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর জামিন খারিজের আবেদন জানিয়েছে।
হাই কোর্টে মামলা গৃহীত হলেও এ সংক্রান্ত কোনও নোটিশ অধীর চৌধুরির কাছে এখনও পর্যন্ত পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছেন তার পক্ষের উকিল। এদিকে গোটা বিষয়ে অধীরের প্রতিক্রিয়া, পুরভোটের আগে আমাকে জেলে পাঠাতে চাইছে শাসকদল। তবে বিচার ব্যবস্থার উপর তার পূর্ণ আস্থা আছে বলেও জানিয়েছেন অধীর।
এদিকে জামিন পেয়ে বহরমপুরের সর্বত্র পুর-প্রচার করে চলেছেন অধীর। অধীরের গ্রেফতারি পরোয়ানাকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল বহরমপুরে ঘাটি গাড়তে চাইছে যে সে নিয়ে দ্বিমত নেই রাজ্য রাজনীতিতে। তাই অধীরের খাসতালুকে বুধবার কংগ্রেসকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাতে আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এই জনসভায় মুকুল রায়ের বার্তা কী হয় এখন তাই দেখার।