গ্রামবাসীদের তৎপরতায় নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন
গ্রামবাসীদের তৎপরতায় নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন
করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে জারি হওয়া কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই হাড়োয়ার গোপালপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগানআটি গ্রামে বছর ১৫ র এক নাবালিকাকে গোপনে বিয়ে দিচ্ছিল নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। গ্রামবাসীদের তৎপরতায় এবং প্যারা লিগ্যাল ভলেন্টিয়ার্সদের উদ্যোগে নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় অটোচালক মোজাফ্ফর মৌলভি খুবই কষ্ট করে সংসার চালান। অটো চালিয়ে ছেলেমেয়েদের ঠিকভাবে লেখাপড়া করাতে পাচ্ছিলেন না। সেকারণেই মোজাফ্ফরের ১৫ বছরের মেয়ে সোহানী খাতুন গোপালপুর গার্লস হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে আর স্কুলে যেতে পারেননি। অভাব-অনটনের কারণে পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্ত নেয় লকডাউনের মধ্যেই তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিবেশীরা বাঁধা দিলেও তা শোনেনি সোহানীর পরিবার।
তাই বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার রাতে বসিরহাট মহকুমা আইনি পরিষেবা কমিটির প্যারা লিগ্যাল ভলেন্টিয়ার বাসন্তী সাহা ও মনীষা দেবনাথকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। এদিন গভীর রাতেই বিয়ে ছিল ওই নাবালিকার। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তারা হাড়োয়া থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পাশাপাশি, পরিবারকে বোঝানো হয়, ১৮ বছর না হলে মেয়ের বিয়ে না দিতে। ঘটনায় ওই নাবালিকার বাবাকে দিয়ে একটি মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। এছাড়াও আশ্বাস দেওয়া হয় সে পড়াশুনা করতে চাইলে তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। এবং সব রকমের সাহায্য করা হবে বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়।