বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে উর্দু, ইসলামপুর উত্তাল নয়া আন্দোলনে
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে উর্দু। এই দাবিতেই এবার বিক্ষোভে উত্তাল হল ইসলামপুরের দাঁড়িভিট। দাঁড়িভিট হাইস্কুলে বাংলার পরিবর্তে উর্দুর শিক্ষক নিয়োগে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে উর্দু। এই দাবিতেই এবার বিক্ষোভে উত্তাল হল ইসলামপুরের দাঁড়িভিট। দাঁড়িভিট হাইস্কুলে বাংলার পরিবর্তে উর্দুর শিক্ষক নিয়োগে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল। দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুতে তা ছড়িয়ে পড়ল গ্রামে। ইসলামপুরে এবার নতুন লড়াই বাংলা বনাম উর্দুর।
একদিকে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত দুই ছাত্রের কফিনবন্দি দেহ মাটিতে পুতে সিবিআইয়ের দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। শনিবার সেই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তোলেন বাম প্রতিনিধি দলের সুজন চক্রবর্তী ও অশোক ভট্টাচার্য-রা। তাঁরা ফিরতেই গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করল।
এবার গ্রামবাসীদের দাবি, উর্দু নয়, বাংলা চাই। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। কেন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে উর্দু। আমরা এর প্রতিকার চাই। সেইসঙ্গে বিচার চাই, কার অঙ্গুলিহেলনে চালানো হল গুলি। দু-দুজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হল। শেষ হয়ে গ্ল দুই তরতাজা প্রাণ। এবার ইসলামপুরে আন্দোলন দু-মুখী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলন হিংসার আকার নেয় দাঁড়িভিট হাইস্কুলে। সেই আন্দোলন প্রশমিত করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুই ছাত্রের। এই ঘটনায় একযোগে সিবিআই ও বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি উঠে পড়েছে।
এদিন রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। সেই বিক্ষোভে সামিল মহিলারাও। ছাত্রছাত্রী-অভিভাবকরাও নেমে পড়লেন বিক্ষোভে। এই আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়ে ইসলামপুর থানা পর্যন্ত। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পুলিশকেই দায়ী করা হয় গুলি চালানোর ঘটনায়। রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের প্রতি অনাস্থা প্রদর্শন করে দাবি করা হয় সিবিআই তদন্তের।
সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখায়। ইসলামপুরে গুলি চালানো ও ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বারাসাত কলোনীমোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে এবিভিপি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলে। শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিও করা হয়। সিপিএম ও বিজেপির ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভে জনজীবন ব্যাহত হয়।