বাংলার সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-শিল্পকলায় ব্যতিক্রম, কলকাতার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ স্বীকৃতি UNESCO-র
দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) হেরিটেজ (Heritage) স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো (Unesco)। ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে বুধবার তাদের রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিবল কালচারাল
দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) হেরিটেজ (Heritage) স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো (Unesco)। ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে বুধবার তাদের রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় স্থান দিয়েছে এই রাজ্যের সব থেকে বড় উৎসবকে।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দুর্গাপুজো
সাধারণ ভাবে সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে বাংলা জুড়েই চার দিনের উৎসবে মেতে ওঠেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ। তবে বর্তমান সময়ে দুর্গাপুজোয় কার্যত দিনের সংখ্যা বেড়েছে। এখন মহালয়াতেই দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হয়ে যায়। মানুষ দ্বিতীয়া কিংবা তৃতীয়া থেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েন। সাধারণভাবে দশমীতে পুজো শেষ হয়। করোনার সময়কাল বাদ দিলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল করে এই পুজোকে সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
🔴 BREAKING
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳😷 (@UNESCO) December 15, 2021
Durga Puja in Kolkata has just been inscribed on the #IntangibleHeritage list.
Congratulations #India 🇮🇳! 👏
ℹ️https://t.co/gkiPLq3P0F #LivingHeritage pic.twitter.com/pdQdcf33kT
ইউনেস্কোর তরফে বিবৃতি
ইউনেস্কোর
তরফে
বিবৃতি
দিয়ে
বলা
হয়েছে
দুর্গাপুজো
ধর্ম
ও
শিল্পের
সর্বজনীন
উদাহরণ।
যা
শিল্পীদের
একটি
সমৃদ্ধির
ক্ষেত্রও
বটে।
শহুরে
এলাকায়
এই
উৎসব
বড়
আকারে
হয়ে
থাকে।
মণ্ডপের
মাধ্যমেই
পুজো
চিহ্নিত
হয়ে
যায়।
পুজোয়
বাজানো
হয়
ঢোল।
অনুষ্ঠানে
জাতি-ধর্ম-বর্ণ
নির্বিশেষে
অর্থাৎ
বিভাজন
উপেক্ষা
করে,
দর্শকরা
ভিড
করেন
মণ্ডপগুলিতে।
ইউনেস্কোর
ওয়েবসাইটে
বলা
হয়েছে,
এই
উৎসব
কারও
ঘরে
আসাকেও
বোঝায়
কিংবা
মৌসুমী
বায়ুর
প্রত্যাবর্তনও
বোঝায়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাশে ছিল কেন্দ্রও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে দুর্গাপুজোয় স্বীকৃতি দাবি করেছিলেন। অন্যদিকে ২০১৯-এ তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী উৎসবকে মর্যাদা দিতে চেষ্টা করছেন। এইবছরের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের তরফে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয় সংস্কৃতি মন্ত্রকে। যেখান থেকে রাজ্যের প্রস্তাবে সমর্থন করে রাখা হয় ইউনেস্কোর সামনে।
প্রতিবছর ইউনেস্কোর তালিকায় যুক্ত হয় বিভিন্ন বিষয়
ইউনেস্কো প্রতিবছরই বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং শিল্পকলাকে তাদের ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ তালিকায় যুক্ত করে। সেরকমই রয়েছে বুধবার। প্যারিসে ইউনেস্কোর কমিটির বৈঠকে কলকাতার দুর্গাপুজোকে ঐতিহ্যের মর্যাদার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন ঐতিহ্য আগেই ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত
২০১০ সালে ছৌ, কালবেলিয়া এবং মুদিয়েত্তুকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। ২০১৩ সালে মনিপুরের সংকীর্তনকে স্বীকৃতি দেয় ইউনেস্কো। ২০১৪ সালে পঞ্জাবের পিতল ও তামার কারুকাজকে স্বীকৃতি গিয়েছিল ইউনেস্কো। ২০১৬-তে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছিল যোগা। আর ২০১৭ সালে কুম্ভ মেলা এই তালিকায় যুক্ত হয়।
পচা গঙ্গার ধারে থাকেন! রুচি নিয়ে প্রশ্ন তুলে 'গুরুত্বহীন' মমতাকে নিশানা দিলীপ ঘোষের