বৈঠকে অনুপস্থিততে ‘কড়া পদক্ষেপ’! বিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় ধনখড়ের নির্দেশে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ উপাচার্যদের
বৈঠকে অনুপস্থিততে ‘কড়া পদক্ষেপ’! বিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় ধনখড়ের নির্দেশে ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ উপাচার্যদের
ইউজিসির সংশোধিত নির্দেশিকার পরে রাজ্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে জল ক্রমশ আরও ঘোলা হচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যে ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্নাতক-স্নাতকোত্তররের ফাইনাল পরীক্ষা নিতে হবে বলে সব রাজ্যের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বর্তমানে সেই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহউপাচার্যের সঙ্গে বুধবার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
ইউজিসির নির্দেশিকা পুর্নবিবেচনার আর্জি মমতার
এদিকে সোমবার বিকালে পরীক্ষা নিয়ে ইউজিসির নির্দেশিকার পুর্নবিবেচনার আর্জি জানিয়ে দিন দুয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বাংলার মতো অনেক রাজ্যেই ইতিমধ্যে করোনা আবহে পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে পরীক্ষা ছাড়া রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলি কী ভাবে মূল্যায়নে এগোচ্ছে তা বোঝাতে আচার্য-রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সোমবার বিকালে দেখা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে শিক্ষাসচিব ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে রাজ্যপাল
সূত্রের খবর, গতকাল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে দেখা করে কয়েক ঘন্টা ধরে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে বোঝান শিক্ষাসচিব মনীশ জৈন। বৈঠকে ‘সদর্থক' কথাবার্তা হয়েছে বলেও জানান রাজ্যপাল। টুইটে পুড়ুয়াদেক আশ্বস্ত করে তিনি লেখেন, "তোমাদের উদ্বেগ ও চিন্তার কোনও কারণ নেই। বিষয়টি কেন্দ্রের কানে তোলা হবে। কোনও পড়ুয়া অবিচারের শিকার হবে না।"
বিধি লঙ্ঘনের আশঙ্কায় রাজ্যপালের বৈঠক নিয়ে দোলচলে উপাচার্যেরা
এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে আগামিকাল ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বৈঠকে বসার কথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলির উপাচার্য ও সহ উপাচার্যদের। বর্তমানে সেই বিষয়েও উঠছে একগুচ্ছ প্রশ্ন। সূত্রের খবর, কয়েকজন উপাচার্য ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের বিধি অনুসারে তাঁরা আচার্যের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন না। যদিও এতে রাজভবন রুষ্ট হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
রাজভবনের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ উপাচার্য সংসদের
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজভবনের এক আধিকারিক রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলির সমস্ত উপাচার্য ও সহ উপাচার্যদের চিঠি দিয়ে আবারও ওই অনলাইন বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা মনে করান। ১৫ জুলাই সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল বৈঠক উপাচার্যরা যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এখানেই ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে রাজ্য উপাচার্য সংসদকে। উপাচার্য সংসদ কর্তৃক জারি করা একটি বিবৃতিতে রাজভবনের এই আচরণকে ‘হতাশাজনক ও অপমানকর' বলেও ব্যাখ্যা করা হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী, মন্ত্রী গেলেন হোম আইসোলেশনে