বিয়ে না হওয়ায় শিক্ষক দাদার ওপর 'আক্রোশ' দুই বোনের! এরপর যা ঘটল, তাতে শিউরে উঠবেন
ময়ূরেশ্বরের ব্রাহ্মণবহড়া গ্রামে দাদাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দুই বোনের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ে না হওয়ায় দুই বোন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পরেই দুই বোন হাতের শিরা কাটে বলে দাবি স্থানীয়দের।
ময়ূরেশ্বরের ব্রাহ্মণবহড়া গ্রামে দাদাকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দুই বোনের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ে না হওয়ায় দুই বোন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার পরেই দুই বোন হাতের শিরা কাটে বলে দাবি স্থানীয়দের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ঘটনাটি খুনের।
রহস্যজনক মৃত্যু বৃন্দাবন মণ্ডল(৩৫) নামে এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের। বাড়িতে থাকা দুই বোন ভর্তি সিউরি সদর হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একই বাড়িতে থাকতেন বাবা, প্রাথমিক শিক্ষক দাদা ও দুই অবিবাহিত বোন। রবিবার বাবা বেরিয়েছিলেন কীর্তন গাইতে। গভীর রাতে বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন ঘড়ে আগুন জ্বলছে। আগুনে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে পেশায় শিক্ষক ছেলে বৃন্দাবন মণ্ডলের। ঘরে রক্তাক্ত দুই বোন। প্রতিবেশীরাই তাঁদের উদ্ধার করে সিউরি জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ বৃন্দাবন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিয়ে না হওয়ায় দাদাকেই দায়ী করতেন দুই বোন। দাদাই তাদের বিয়েতে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করতেন দুই বোনই। এরপর রবিবার বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাথমিক শিক্ষক দাদার অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার। ঘরেই হাতের শিরা কাটা অবস্থায় রক্তাক্ত দুই বোনকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, আক্রোশবশত দুই বোন দাদাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে মৃত বৃন্দাবন মণ্ডলের বাবাকে।