পুরুলিয়ায় বাসে পিষ্ট কিশোর, বর্ধমানে পথের বলি ছাত্রী, মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ, আগুন
সাত সাকলেই পথ দুর্ঘটনা কাড়ল কিশোরের প্রাণ। পুজোর ফুল তুলে আনতে গিয়ে সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল কিশোরের। পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে স্কুল যাওয়ার পথে ট্রাক পিষে দিল সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে।
পুরুলিয়া ও পূর্ব বর্ধমান, ২ মে : সাত সকালে পুজোর ফুল তুলতে গিয়ে সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল কিশোরের। মঙ্গলবার সকালে ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কের পুরুলিয়া শহরের নডিহায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার অদ্যাবধি পরেই পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুরে ঘটে গেল আর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্কুল যাওয়ার পথে ট্রাক পিষে দিল সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে। দুই দুর্ঘটনার পরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরুলিয়ায় মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা। আর পূর্ব বর্ধমানে ঘাতক ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
কোয়েল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ছাত্রী বৈদ্যডাঙা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিল। তখনই রসুলপুর বাজারের কাছে ডিটি রোডে তার সাইকেলে ধাক্কা মারে ট্রাকটি। ঘটনাস্থলেই মৃ্ত্যু হয় কোয়েলের। সিভিক ভলেন্টিয়াররা ট্রাকটিকে ধরে ফেলেন। উত্তেজিত জনতা ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ সামিল হন।
এদিনই সকালে পুরুলিয়ায় জাতীয় সড়কের ধারে ফুল তুলতে গিয়েছিল স্থানীয় এক কিশোর। রাস্তা পার করার সময় একটি সরকারি বাস তাকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ওই কিশোর। ঘটনাস্থলেই মৃ্ত্যু হয় তার। তারপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ, এলাকায় কোনও যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার করতে হয়। এলাকা জনবসতিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা না থাকায় এদিন ক্ষোভ উগরে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনও গাড়িই এই এলাকায় গতি কমায় না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটেই চলে। পুলিশ অবরোধ তুলতে গিয়ে জানিয়েছে, যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পিডব্লুডি-র। প্রশাসনের তরফ থেকে আবেদন জানানো হবে। এরপরই অবরোধকারীর আশ্বস্ত হন, অবরোধ তুলে নেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।