এবার মুকুলের থাবা উত্তরে, তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে পা বাড়াচ্ছেন কারা
জঙ্গলমহলের পরই মুকুল রায়ের নজর উত্তরবঙ্গে। এ মাসের শেষেই তিনি পাড়ি দিচ্ছেন জলপাইগুড়িতে। সেখানে মুকুলপন্থীরা তৈরি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে কয়েকজন সদস্যের মুখে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তৃণমূল ভেঙে একেবারে সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূল আইনজীবী সেলের নেতা গৌতম পাল। তাঁর সঙ্গে কতজন যোগ দেবেন, তা এখনও নিশ্চিত করেননি তিনি। জানিয়েছেন, কৌশলগত কারণেই আমরা সংখ্যা জানাচ্ছি না। আসল সময়েই আমরা তা প্রকাশ করব।

[আরও পড়ুন:মমতা ফেরার পরই জঙ্গলমহলে হানা মুকুলের, 'চ্যালেঞ্জ' নিয়ে দাঁড়ালেন কুর্মিদের পাশে ]
বিজেপির প্রস্তাবিত জেলা সফর শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই জেলা সফরেই এবার মুকুল রায়ের নেতৃত্বে শমীক ভট্টাচার্য ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায় হানা দিচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। শিলিগুড়ি দিয়ে সফর শুরু। ২৮ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে সভার পর ৩০ ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে যাবেন মুকুল রায় অ্যান্ড কোং। সেখানেই মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে আইনজীবী সেলের সদস্যরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্বের পক্ষেই এই যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোদগানের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে জেলা তৃণমূলের পক্ষে। নেতৃত্বের কথায়, কেউ কেউ হয়তো যোগ দিতে পারেন, তাঁরা কেউই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন, তৃণমূলের সক্রিয় সদস্যও নন। বিজেপি সর্বত্রই কিছু সদস্যকে জোগাড় করে তৃণমূলের কর্মী, তৃণমূলের সদস্য বলে চালাতে চাইছে। দেখাতে চাইছে কত লোক তৃণমূল ভেঙে আসছে। কিন্তু আমাদের দল তাতে কমছে না, উত্তরোত্তর ভোট বৃদ্ধিই তার প্রমাণ।
এর আগে মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার পরই উত্তরের বেশ কয়েকজন নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। তার মধ্যে কয়েকজন তো প্রকাশ্যে বলেই দিয়েছিলেন, মুকুল রায় যেদিকে, আমরাও সেদিকে। শুভ্র রায়চৌধুরী, নরোত্তম রায়দের মতো নেতারা পোস্টার-ফেস্টুনে সমর্থনও জানিয়েছিলেন মুকুল রায়কে। কিন্তু কতিপয় নেতা ছাড়া আর সাড়া মেলেনি। এখনও দেখা যাচ্ছে দু-চারজন নিচুতলার নেতা ছাড়া আর কেউই মুকুল রায়ের সঙ্গে যাচ্ছেন না।