এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হিন্দুরা! সংসদে নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনীর বিরোধিতায় তৃণমূল
আগেই জানা গিয়েছিল শীতকালীন অধিবেশনেই আসতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। জানা গিয়েছে, সেই বিল আসতে চলেছে আগামী সপ্তাহের গোড়ায়।
আগেই জানা গিয়েছিল শীতকালীন অধিবেশনেই আসতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। জানা গিয়েছে, সেই বিল আসতে চলেছে আগামী সপ্তাহের গোড়ায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই শীতকালীন অধিবেশন।
এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত হিন্দুরা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন চূড়ান্ত অসমের নাগরিক পঞ্জীতে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ নাম। যার মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু। ফলে হিন্দুদের বড় অংশ এনআরসি নিয়ে আতঙ্কিত। সারা দেশে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সেই আতঙ্ক দূর করতেই সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনতে চলেছে।
এনআরসির প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনে
এনআরসির প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচনেও। ৩ আসনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। হারের পরেই কালিয়াগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সরাসরি এনআরসিকেই দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল প্রচারে তারা হেরে গিয়েছেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের লক্ষ্য
প্রতিবেশী
বাংলাদেশ,
পাকিস্তান,
আফগানিস্তান
থেকে
আসা
হিন্দু,
পার্সি,
জৈন,
বৌদ্ধ,
খ্রিস্টানদের
নাগরিকত্ব
দেওয়া
হবে
এই
বিলের
মাধ্যমে।
২০১৪-র
৩১
ডিসেম্বরের
আগে
যাঁরা
এসেছেন,
তাদের
ক্ষেত্রেই
এই
আইন
প্রযোজ্য
হবে।
এইসব
হিন্দু
শরণার্থীদের
কোনও
কাগজপত্র
দেখাতে
হবে
না।
এব্যাপারে
১৯৫৫
সালের
নাগরিকত্ব
আইন
সংশোধন
করা
হচ্ছে।
১৯৫৫
সালের
আইনে
নাগরিকত্ব
পাওয়ার
জন্য
টানা
১২
মাস
ভারতে
থাকার
সঙ্গে
আগেকার
১৪
বছরের
মধ্যে
১১
বছর
ভারতে
থাকা
জরুরি
ছিল।
এবারের
সংশোধনীতে
১১
বছর
সময়কালকে
৬
বছরে
নামিয়ে
আনা
হচ্ছে।
এনআরসিতে বাদ পড়া হিন্দুদের পাশে রাখতে উদ্যোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এব্যাপারে তৃণমূলের বক্তব্য হল, এনআরসি ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি না হলেও, সেই তালিকায় যেসব হিন্দুর নাম বাদ পড়েছে তাদের পাশে রাখতেই এই বিল আনা হচ্ছে। তারা মনে করছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলে, বাংলায় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বড় ধরনের অসন্তোষ তৈরি হবে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতেই এই বিল মনে মনে করছে তারা।