দলের নিয়ন্ত্রণ নেই নেত্রীর হাতে! চলছে 'জো হুজুর', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
দলের নিয়ন্ত্রণ নেই নেত্রীর হাতে! চলছে 'জো হুজুর', বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক
নিজের কার্যালয় থেকে দলনেত্রীর ছবি এবং তৃণমূলের (trinamool congress) পতাকা সরিয়ে ছিলেন মাস দেড়েক আগেই। এবার দলনেত্রীর প্রতিই অনাস্থা প্রকাশ করলেন দক্ষিণ কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ২ অক্টোবর জেলায় ব্লক কমিটি ঘোষণা নিয়ে অসন্তোষের শুরু। পরে পিকের কাজ নিয়ে কটাক্ষ করেন মিহির গোস্বামী (mihir goswami) ।
২২ বছর দিদির আস্থাতেই টিকে থাকা
বহুকাল পরে এবার এক নিস্প্রভ দীপাবলি দেখে মন বিষণ্ণ হয়েছিল মিহির গোস্বামীর। তেমনই ভেবে বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলেন, যে দলের অভিধানে ‘সম্মান' বলে শব্দটিই অনুপস্থিত সেই দলে কীভাবে তিনি বাইশটা বছর কাটিয়ে দিলেন, তা ভেবে! কী করে সম্ভব হল, কেন তা সম্ভব হল এসব প্রশ্ন উঠে আসে তাঁর নিজের মনেই! উত্তর একটাই। দিদির ওপর বিশ্বাস-আস্থাতেই এতদিন টিকে ছিলাম। ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেছেন মিহির গোস্বামী।
তৃণমূলে টিকে থাকতে গেলে 'জো হুজুর'
তিনি আরও বলেছেন, ঊনিশশো ঊননব্বই সাল থেকে তাঁর নেতৃত্ব মেনে দীর্ঘ তিরিশ বছর অতিক্রম করার পর হঠাৎ বোধগম্য হয়েছে, এ দল এখন আর আমার দিদি-র দল নয়, দিদি এখানে নিস্পৃহ। তাই 'দিদির লোক' এখানে অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন। অন্যায্য সবকিছু মেনে নিয়ে 'যো হুজুর' করে টিকে থাকতে পারলে থাকো, নয়ত তফাৎ যাও।
দল নেই দিদির হাতে
সংগঠন
থেকে
আমার
অব্যাহতি
নেওয়ার
ঘোষণা
করার
পর
ছয়
সপ্তাহ
কেটে
গেছে।
পরবর্তী
বিয়াল্লিশ
দিনে
তিনি
প্রায়
সব
দলের
কাছ
থেকে
এক
বা
একাধিক
ফোন
কল
পেয়েছেন,
কথা
বলেছেন।
বহু
পুরনো
রাজনৈতিক
বন্ধুর
ফোন
পেয়েছেন
রাজ্যের
বাইরে
থেকেও।
কেউ
অফার
দিয়েছেন,
কেউ
পরামর্শ
দিয়েছেন,
কেউ
শুধু
ভালবাসা
দিয়েছেন।
সতীর্থ
অনেক
সহকর্মী
নেতার
ফোন
এসেছে
বাংলার
নানা
প্রান্ত
থেকে,
কলকাতা
থেকে,
সবার
ফোন
ধরা
হয়ত
সম্ভব
হয়নি।
কিন্তু
গত
ছয়
সপ্তাহে
খোদ
নেত্রীর
কাছ
থেকে
কোনও
ফোন
আসেনি।
কোনও
বরখাস্তনামা
কিংবা
বহিষ্কাররের
নির্দেশও
আসেনি
তাঁর
কাছ
থেকে।
তিনি
মনে
করেন,
দল
আর
আমার
নেত্রীর
হাতে
নেই,
অর্থাৎ
এই
দল
আর
আমার
নয়,
হতে
পারে
না।
শ্যামা
মায়ের
আরাধনালগ্নে
এই
অনুমান
আরও
দৃঢ়
হয়েছে
তাঁর।
তাই
এই
দলের
সঙ্গে
সমস্ত
রকমের
সম্পর্ক
ছিন্ন
করাটাই
কি
স্বাভাবিক
নয়,
প্রশ্ন
করেছেন
মিহির
গোস্বামী।
সরব হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর ও দোলা সেনের বিরুদ্ধে
দলের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মিহির গোস্বামী তোপ দেগেছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, কোনও রাজনৈতিক দল কোনও কন্ট্রাক্টর সংস্থাকে দিয়ে চালানো সম্ভব নয়। যদি তা করা হয়, ক্ষতির সম্ভাবনা হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। বহিরাগত কোনও সংস্থা কোনও সংগঠনকে পরিচালনা করবে, এটা কোনও দলের পক্ষে ভাল নয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
মিহির গোস্বামী সরর হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের বিরুদ্ধেও। দোলা সেন একসময় বলেছিলেন, যে টাকা তুলছেন, তার ৭৫ শতাংশ দলকে দিন আর ২৫ শতাংশ নিজেরা রাখুন। দোলা সেনের এই কথায় দুর্নীতিকেই সিলমোহর দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মিহির গোস্বামী।
মিহির গোস্বামী বলেছিলেন, অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে তাঁর ৪০ বছরের সম্পর্ক। তিনি আরও বলেছিলেন, যদি রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক নাও থাকে তবুও অধিকারী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে।
নির্বাচন কালে যুবতীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ধামাচাপা বিহারে! নীতীশের 'পর্দা ফাঁস' রাহুলের