জামিনে মুক্ত মন্ত্রী মদন : সব জেনেও কেন প্রস্তুত ছিল না সিবিআই, উঠছে প্রশ্ন
অগুনতি জামিনের আবেদন এর আগে নামঞ্জুর করেছে নিম্ন আদালত। সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি কাণ্ডে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ক্রীড়া ও পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র কবে জামিন পাবেন সেটা নিয়ে কেউই নিশ্চিত ছিলেন না।
এমন একটা পরিস্থিতিতে কর্তব্যে গাফিলতি ও গয়ংগচ্ছ মনোভাবের জন্য গ্রেফতারের প্রায় ১১ মাস পরে হঠাৎ করে জামিন পেয়ে গেলেন মদন মিত্র। এর আগে বারংবার যে মদনের জামিনের আর্জিই শুনতে চাননি বিচারকেরা, সেখানে একবেলার মধ্যে কীভাবে জামিন পেলেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা সারদা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মদন মিত্র। উঠছে সেই প্রশ্ন।
আর এক্ষেত্রে তির তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দিকেই। মূলত তাদের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্যই ছাড়া পেয়ে গেলেন মদন মিত্র, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের।
শনিবার বিকেলের শেষবেলায় জানা যায়, ২ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে সারদা কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী মদনবাবুর জামিন হয়েছে। সৌজন্যে সিবিআইয়ের হাতে কেস ডায়েরি না থাকা। শুধু তাই নয়, শনিবার আদালতে বারবার ডাকা সত্ত্বেও উপস্থিত হননি ঘটনার তদন্তকারী অফিসার। আর সেজন্যই ক্ষুব্ধ হয়ে মদন মিত্রের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক পিপি দাস।
রাজ্যের ক্ষেত্রে যে মামলাটিকে সিবিআইয়ের তরফে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা, যে মামলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সুবিশাল আর্থিক দুর্নীতি ও লক্ষ লক্ষ মানুষের পকেটের টাকা আর চোখের জল, সেই মামলা লড়ার ক্ষেত্রে এমন গা ছাড়া মনোভাব কেন সিবিআইয়ের। উঠছে সেই প্রশ্ন।
মদন মিত্র মামলার জামিনের আবেদনের শুনানির দিন অনেক আগে থেকেই ঠিক ছিল। সেইমতো প্রস্তুতি নিতে পারত সিবিআই। সেটা তো নেওয়াই হয়নি। অভিযোগ, উল্টে এদিন আলিপুর আদালতের বিচারককে বিভ্রান্ত করা হয়। কখনও বলা হয় কেস ডায়েরি নেই, কখনও বলা হয় তদন্তকারী অফিসার নেই, ইত্য়াদি।
আপাতত সোমবার হাইকোর্টে মদন মিত্রর জামিনের বিরোধিতা করে আবেদন করতে চলেছে সিবিআই। তবে তাতে কতোটা সুবিধা হবে, সেটা নিয়েই সন্দিহান সিবিআইয়েরই একাংশ। অন্যদিকে জামিনে মুক্ত মদন মিত্র এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরলেন। কালীপুজো কাটিয়ে মদনবাবু ফের যোগ দেবেন মন্ত্রিত্বে। ক্রীড়া ও পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী যে তিনিই!