রায়গঞ্জে বটগাছকেই দেবীরূপে চলে পুজো, সম্প্রীতি যার মূল লক্ষ্য
বটগাছকেই দেবীরূপেই পূজো করে আসছেন রায়গঞ্জ মানুষ। ধর্মীয় বিভেদ এখানে দূর। চারশো বছর ধরে রায়গঞ্জ শহরের রাসবিহারী এলাকায় বটগাছটিকে কালীমাতা রূপে পূজো করে আসছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ।
বটগাছকেই দেবীরূপেই পূজো করে আসছেন রায়গঞ্জ মানুষ। ধর্মীয় বিভেদ এখানে দূর। চারশো বছর ধরে রায়গঞ্জ শহরের রাসবিহারী এলাকায় বটগাছটিকে কালীমাতা রূপে পূজো করে আসছেন সব সম্প্রদায়ের মানুষ।
সমস্ত বিভেদের বেড়াজাল ভেঙে সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর এলাকার শতাধিক পরিবার। মূর্তির বদলে বটগাছের তলায় কালী মায়ের পূজো হয়। তার পাশেই রয়েছে শিবের বেদী। রায়গঞ্জ শহরের পশ্চিম বীরনগর এলাকায় বটগাছের নীচে বেদীতেই মূর্তিহীন কালী পূজো করে আসছেন এলাকার বাসিন্দারা। হিন্দু ও মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূজো থেকে শুরু করে সব কাজ করে থাকেন।
আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। মায়ের বেদীকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলছেন তাঁরা। সারা দিন ধরে চলছে সাজানোর কাজ। পূজো উদ্যোক্তাদের দাবি, এখানে নেই কোনও ধর্মীয় ভেদাভেদ। এলাকার মানুষের মধ্যে অটুট রয়েছে ঐক্য। কালীপূজো ও ইদের সময় সেই একতা আরও সুদৃঢ় হয়। সব ধর্মের মানুষই কোনও শুভ কাজে গেলে এই বেদীতে পূজো দিয়ে যান।
পূজো কমিটির এক মুসলিম সদস্য জানান, সাম্প্রদায়িকতার অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করে মানবিকতার শুভ শক্তির জয়ধ্বনি করতেই এখানে মায়ের আরাধনা। মায়ের কাছে তাদের প্রার্থনা যুগ যুগ ধরে যেন এলাকায় সম্প্রীতি বজায় থাকে।