প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে টর্নেডোর তাণ্ডব দেখল সাগরদ্বীপ! কোনও রকমে রক্ষা কপিলমুনি আশ্রমের
একে রক্ষে নেই আবার টর্নেডোর আতঙ্কে ঘুম ছুটছে বাংলার মানুষের। লাগাতার বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে সাধারণ মানুষ। আর এরই মধ্যে আতঙ্ক বাড়ল টর্নেডো। সোমবার দুপুরে হঠাত করেই সাগরদ্বীপে টর্নেডোর দাপট দেখা যায়। প্রায় মিনিট দুই
একে রক্ষে নেই আবার টর্নেডোর আতঙ্কে ঘুম ছুটছে বাংলার মানুষের। লাগাতার বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগের মধ্যে সাধারণ মানুষ। আর এরই মধ্যে আতঙ্ক বাড়ল টর্নেডো। সোমবার দুপুরে হঠাত করেই সাগরদ্বীপে টর্নেডোর দাপট দেখা যায়। প্রায় মিনিট দুই স্থায়ী ছিল সেটি।
আর তাতেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গিয়েছে সাগরদ্বীপে। যদিও কোনও রকমে রক্ষা পেয়ে যায় কপিল মুনির আশ্রম। সেখানে টর্নেডোর কোনও আঘাত হানতে পারেনি বলে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন।
তবে ঝড়ের কারনে সেখানে একাধিক ঘর-বাড়ি ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। চলে উদ্ধারকাজ।
সকাল থেকে বৃষ্টি সাগরদ্বীপেও
রবিবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে সাগরদ্বীপেও। সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে সেখানেও। সঙ্গে প্রবল গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। রাস্তা ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। প্রবল বৃষ্টির কারনে রীতিমত বেশ কয়েকট জায়গাতে জল পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যায়। অন্যদিকে ভরা কোটালের কারনে উত্তাল ছিল সাগর। বৃষ্টির কারনে বেশ খুব একটা পর্যটকদের ভিড়ও ছিল না। ফলে ফাঁকা ছিল গোটা এলাকা। আর সেই সময়েই হঠাত করে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়।
হঠাত করেই টর্নেডোর দাপট শুরু হয়
জানা যায়, সকাল ১০ টা ৩৫ নাগদ এই ঘটনা ঘটে। কপিল মুনির মন্দির থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার রাস্তাতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, হঠাত করেই গোল করে ঘুরতে ঘুরতে বৃষ্টি উপরের দিকে উঠে যেতে থাকে।
শুধু তাই নয়, সেটি ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকে। হঠাত করে এমন রূপ দেখে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে। রীতিমত ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে যে যেদিকে পারে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, এই ঝড় প্রায় দুমিনিট স্থায়ী হয়। আর তাতেই কার্যত সাগরদ্বীপ জুড়ে ধ্বংসের চেহারা।
একাধিক কটেজ-দোকান ভেঙে গিয়েছে
প্রাউ দুমিনিটের মধ্যেই একাধিক দোকান, কটেজ ভেঙে দিয়ে গিয়েছে ওই ঝড়। সরকারের তরফে একাধিক কটেজ তৈরি করা হয়েছিলা আশ্রম সংলগ্ন এলাকাতে। সেগুলি সমস্ত ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, একাধিইক দোকান ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর প্রশাসনের কাছে যেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন সরকারি আধিকারিকরা। কয়েক জন পর্যটক ক্ষতিগ্রস্ত কটেজে আটকে পড়েছিলেন। তাঁদেরকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভেঙে যাওয়া দোকান, কটেজগুলিকে নতুন করে সারানোর কথা বলা হয়েছে।
বেঁচে যায় আশ্রম!
প্রাউ দুমিনিটের মধ্যেই সাগর জুড়ে ধ্বংসলীলা চলে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর সামনে আসেনি। অন্যদিকে কোনও ক্ষতি হয়নি কপিল মুনির মন্দিরের। একদম কাছেই ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে কিন্তু রক্ষা পেয়ে যায় মন্দির। স্থানীয় মানুষজন জানাচ্ছেন, টর্নেডো বেশিক্ষণ স্থায়ী না হওয়ায় রক্ষা পায় মন্দির চত্বর। আর কিছুক্ষণ এই তাণ্ডব চললে মন্দিরেরও ক্ষতি হত বলে দাবি প্রশাসনের। তবে মন্দির প্রশাসনের বিশ্বাস, ভগবানের কৃপার কারনেই এই আশ্রম রক্ষা পেয়েছে।