অফিসে আসা বন্ধ করেছেন বিধায়ক! তৃণমূলের কার্যালয়ের নাম মুছলেন কর্মীরা
রাজ্যের সর্বত্র নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা তৃণমূলের (trinamool congress) । যদিও তারই মধ্যে থেকে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেপে রাখা ক্ষোভ বেরিয়ে আসছে। তা সে কোচবিহার হোক কিংবা বাঁকুড়া (bankura)। ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিধায়কের অনুপস্থিতিতে দলের একাংশের কর্মীরা পার্টি অফিসের রঙ সাদাও করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও নিজের অনুপস্থিতির অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী (arup chakraborty)।

সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত
বিধায়ক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত। যার জেরে সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। যা নিয়ে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। এমনটাই দাবি তালড্যাংরার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষজনের। লালমাটির জেলা বাঁকুড়ার এই জনপদেরই বিধায়ক তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী। তালড্যাংরার সিমলাপালের মানুষজন বিধায়কের পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে ছুটতে হচ্ছে বাঁকুড়ার স্কুলডাঙায় বিধায়কের বাড়িতে। বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে সাধারণ মানুষ পড়েছেন আরও বেশি অসুবিধায়।

দলীয় কার্যালয়ে সাদা রং
ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে তৃণমূলের কার্যালয়ের রং কেউ বা কারা সাদা করে দিয়েছেন। তবে স্থানীয়রা বলছেন, তৃণমূলের সরকার, প্রশাসন তৃণমূলের সর্বত্র নিরঙ্কুষ গরিষ্ঠতা তৃণমূলের। সেই পরিস্থিতিতে কার সাধ্য তৃণমূলের পার্টি অফিসে সাদা রং করে দেওয়ার। যা করছে দলের লোকজনই করছে। ভোটে জেতার পরে কিছুদিন এলেও, দীর্ঘদিন সিমলাপালের দলীয় অফিসে বিধায়ক আসছেন না বলে অভিযোগ। সেই কারণেই পার্টি অফিসের রং সাদা হয়েছে, বলছেন স্থানীয়দের একাংশ।
বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিখিল সিং মহাপাত্র। তিনি বলেছেন, যজি বিধায়ককেই না পাওয়া যায়, তাহলে বিধায়কের অফিস রেখে লাভ নেই। সেই কারণেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়েই সাধারণ মানুষ পার্টি অফিসের রং সাদা করে দিয়েছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের
যদিও তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যেভাবে পরিষেবা পেলে মানুষ উপকৃত হবেন, সেইভাবেই দেওয়া হচ্ছে। পরিষেবার কোথাও খামতি নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, তৃণমূলের যে পার্টি অফিস নিয়ে কথা উঠেছে, তা তিনি তৈরি করেননি।

কটাক্ষ বিরোধীদের
এই ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই সামনে এসে পড়ল বলে বলছে গেরুয়া শিবির। তারা কটাক্ষ করে বলছে, তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক এলাকার বাইরের লোক। তিনি বাইরেই থাকতে পছন্দ করেন। সেই কারণেই এলাকার মানুষের মন থেকে দূরে সরে গিয়েছেন বিধায়ক। যার প্রকাশ পাচ্ছে এইভাবেই।
ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছেন অর্জুন সিং! প্রধানমন্ত্রী মোদীর নৈশভোজ এড়ানো নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের