ওপিনিয়ন পোলে এগিয়ে তৃণমূল! খড়গপুরে ভোটের আগে ফল লিফলেটে, বিতর্ক তুঙ্গে
ওপিনিয়ন পোলে এগিয়ে খড়গপুর সদর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ সরকার। লিফলেট বিলি হল গোটা রেল শহরজুড়ে।
ওপিনিয়ন পোলে এগিয়ে খড়গপুর সদর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ সরকার। লিফলেট বিলি হল গোটা রেল শহরজুড়ে। প্রার্থী কত ভোট পেতে পারেন, বিপক্ষ কত ভোট পেতে পারে- এই সংক্রান্ত হিসেবে দিয়ে লিফলেট, এর আগে দেখেনি কোনও নির্বাচন। ২০১৯-এর উপনির্বাচন তাও দেখিয়ে দিল। লিফলেট বিলি নিয়ে উত্তেজনাও ছড়াল পাল্লা দিয়ে।
লিফলেট বিলির পরই বিজেপির দাবি
খড়গপুর সদর উপনির্বাচনের প্রচারের শেষদিন এই লিফলেট বিলির পরই বিজেপির দাবি, এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের চক্রান্ত। বিজেপি এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছে। তাদের অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে তৃণমূল। ভোটারদের প্রভাবিত করতেই এই লিফলেট বিলির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি লিফলেট বিলি প্রসঙ্গে
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, তাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাই কোনও গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল এই কেন্দ্রে জিতছে। তাই নেগেটিভ প্রচারের কোনও দরকার নেই। ইতিবাচক প্রচারেই তাঁরা জিতবেন।
লিফলেটে কী রয়েছে
এই লিফলেটে বলা হয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী ভোট পেতে পারেন ৪৫ শতাংশ। আর বিজেপি প্রার্থী পাবেন ২৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ ১৬ শতাংশ ভোটে এবার বিজেপিকে হারাবে তৃণমূল কংগ্রেস। ওপিনিয়ন পোলের উল্লেখ করে এই দাবি উত্থাপন করা হয়েছে বিতর্কিত লিফলেটে।
বিজেপি জেলা সভাপতির বক্তব্য
বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাসের দাবি, এ কাজ তৃণমূল ছাড়া আর কারও হতে পারে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। খড়গপুরের মানুষ বিজেপির সঙ্গে ছিলেন, বিজেপির সঙ্গেই আছেন। তৃণমূল হালে পানি পাচ্ছে না বলেই এই ভ্রান্ত লিফলেট ছড়িয়ে ভোট পেতে চাইছে।
তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, খড়গপুরে এমন লিফলেট বিলি হয়েছে শুনেছি। কে করেছে বলতে পারব না। তবে কেউ তো করেছে, না হলে বিলি হল কী করে। আমরা কিছুই জানি না। ওই লিফলেটে দাবি করা হয়েছে তৃণমূল ১৬ শতাংশ ভোটে জিতছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, তৃণমূল জিতছে ২২ শতাংশ ভোটে। তৃণমূল লেফলেট তৈরি করলে ২২ শতাংশ লিখত, ১৬ শতাংশ নয়।