সামনে ভোট, সসম্মানে তৃণমূলে ফিরলেন 'তাজা নেতা' আরাবুল ইসলাম
কলকাতা, ২০ জানুয়ারি : শিয়রে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেটাকে মাথায় রেখেই 'সম্ভবত' ছয় বছরের জন্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে সসম্মানে দলে ফিরিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ['কাঁটা' উপড়ে ফেলল তৃণমূল, দল থেকে বহিষ্কৃত আরাবুল ইসলাম]
এদিন ভাঙরের এই তৃণমূল নেতাকে দলে ফেরানোর কথা ঘোষণা করেন দলের জেলা সভাপতি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ফলে সামনের বিধানসভা ভোটে ভাঙর, রাজারহাট সহ আশপাশের এলাকায় 'ভোটের প্রচার' সারতে আরাবুল ইসলামের আর কোনও বাধা রইল না। [তোলাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার বহিঃস্কৃত তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম]
২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর ভাঙড়ের ত্রাস আরাবুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। জানানো হয়, ছ'বছরের জন্য তাঁকে থাকতে হবে দলের বাইরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। [উচ্চ মাধ্যমিক চলাকালীনই আরাবুলের মস্তানি, দর্শক পুলিশ]
তারপরেও অবশ্য এই এলাকায় আরাবুলের দাপট অব্যাহত থেকেছে। নানা অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে দলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে তা এড়িয়ে গিয়েছে শাসক তৃণমূল। তবে এবার সরাসরিই তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হল।
সাসপেন্ড আরাবুলকে ফিরিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, মাঝের এই ১৪ মাস তৃণমূলের হয়েই এলাকা দাপিয়ে বেরিয়েছে আরাবুল ইসলাম। তবে তার দায়িত্ব দল নিতে চায়নি। গোটা ঘটনাকেই 'আইওয়াশ' বলে কটাক্ষ বিরোধীদের।
এবার বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসায় ভোট লুঠ করতেই আরাবুলের মতো 'দলের সম্পদ'-কে ফিরিয়ে আনা হল বলে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম কখনও কলেজের শিক্ষিকাকে জলের জগ ছুড়ে মারা, কখনও তোলা না পেয়ে মারধর, খুনের ঘটনা সহ নানা অভিযোগে বারবার কাঠগড়ায় উঠেছেন।
২০১৪-র শেষে ভাঙড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনোখুনির ঘটনা ঘটায় ফের বিতর্কে জড়ান আরাবুল ইসলাম। তারপরই তাকে নিয়ে ক্রমাগত অস্বস্তি বাড়তে থাকায় তাকে ঝেড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। ছ'বছরের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিন সেই সিদ্ধান্তই ফিরিয়ে নিল দল।