'পরিবর্তনের ভোটে' সারদার থেকে ১৩০ কোটি টাকা নিয়েছিল তৃণমূল
আরও পড়ুন: ডেলোতে মমতা-সুদীপ্ত গোপন বৈঠক নিয়েও তদন্ত হবে, জানাল সিবিআই
সিবিআই গোয়েন্দাদের উদ্ধৃত করে 'গণশক্তি' পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সল্ট লেকে সারদা গোষ্ঠীর কার্যালয় মিডল্যান্ড পার্ক থেকে ১৩০ কোটি পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। এই লেনদেনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন মুকুল রায় ও সদ্য গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন আইপিএস রজত মজুমদার। ভোটের আগে সিপিএম নেতা তথা তৎকালীন আবাসন মন্ত্রী গৌতম দেব এটা নিয়ে অভিযোগ করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায়রা। কিন্তু অভিযোগের যে সারবত্তা রয়েছে, এ বার তা খুঁজে পেয়েছে সিবিআই।
লেনদেনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন মুকুল রায় ও সদ্য গ্রেফতার হওয়া রজত মজুমদার
১৩০ কোটি টাকা থেকে ৩৪ কোটি বেলানো হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ২২৬ জন প্রার্থীকে। মানে মাথাপিছু তাঁদের ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ভোটের খরচ চালাতে। আরও ৪১ কোটি টাকা অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, তখন হেলিকপ্টারে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্বাচনী প্রচারে যেতেন, তাও এসেছিল এই টাকা থেকে। জেলবন্দি সাংসদ কুণাল ঘোষ যে চিঠি লিখেছিলেন সিবিআইকে, সেখান থেকে এই রহস্য সম্পর্কে কিছুটা জানা গিয়েছে বলে দাবি। ভোটে খরচের পর বাকি টাকার একটা বড় অংশ কোথায় গেল, কেউ জানে না। কুণালবাবু দাবি করেছেন, টাকা কোথায় গেল তা জানেন মুকুল রায় ও রজত মজুমদার। খানিকটা জানেন আসিফ খান।
কিন্তু কেন এই বিপুল টাকা দিতে গেলেন সুদীপ্ত সেন? বলা হচ্ছে, মুকুল রায় নাকি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ওই টাকা পেলে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করা যাবে। শাসক দল বা রাজ্য সরকার এতে নাক গলাবে না।
প্রশ্ন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এটা জানতেন? সব মহলই নিশ্চিত, যাঁর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া দল এক পা-ও ফেলে না, সেখানে ১৩০ কোটি টাকা এল আর তিনি জানলেন না, এটা কখনও হতে পারে না। সব কিছু জেনেও তিনি চুপ করে আছেন বলে দাবি বিরোধীদের।