মোদী-শাহের নেতৃত্বেই বাংলাকে বঞ্চনা, রেমডেসিভির বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা তৃণমূলের
মোদী-শাহের নেতৃত্বেই বাংলাকে বঞ্চনা, রেমডেসিভির বরাদ্দ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা তৃণমূলের
বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ বাম আমলেও শোনা গিয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রের বিজেপির (bjp) সরকার করোনা (coronavirus) পরিস্থিতিতেও রাজ্যের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে বলে অভিযোগ তুললেন তৃণমূল (trinamool congress) মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন (derek obrien) । বর্তমানে রেমডেসিভির (remdesivir) ওষুধ বন্টন নিয়ে কেন্দ্রের প্রকাশিত তালিকা তুলে ধরে তিনি এই অভিযোগ করেছেন।
অক্সিজেন নিয়ে মমতার অভিযোগ
দিন দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে দুয়োরানির মতো আচরণ করছে। রাজ্যে তৈরি হওয়া অক্সিজেন রাজ্যের বাইরে পাঠানোর নির্দেশ কেন্দ্র দিচ্ছে, অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যদিও বিজেপি পাল্টা বলেছে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মরে গেলেও ওষুধ পাবো না
দিন কয়েক আগে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, মরে গেলেও ওষুধ পাবো না। কেননা দেশের থকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা ৬৮ শতাংশ ওষুধ বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। ওষুধ রপ্তানির সময়ে প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশের কথা ভাবলেন না, মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার টিকার বিভিন্ন রকমের দাম নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন তিনি।
বিভিন্ন রাজ্যকে রেমডেসিভির বরাদ্দ
এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন বিভিন্ন রাজ্যকে কেন্দ্রের রেমডিসিভির বরাদ্দের তালিকা টুইট করেছেন। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে দেশে করোনায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্রের জন্য ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার আর দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত আর উত্তর প্রদেশের জন্য যথাক্রমে ১লক্ষ ৬৫ হাজার এবং ১ লক্ষ ৬১ হাজার রেমডেসিভির বরাদ্দ করা হয়েছে। সেখানে বাংলার জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩২ হাজার।
মাস্ক নিয়ে নতুন নিয়ম, করোনা ঠেকাতে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের কড়া সিদ্ধান্ত
|
রেমডেসিভির নিয়ে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ
টুইটে ডেরেকের অভিযোগ মোদী-শাহ বাংলাকে ঘৃণা করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে অনুরেআধ করেছিলেন রাজ্যে তৈরি অক্সিজেন যাতে অন্য রাজ্যে দেওয়া না হয়। তাও শোনেনি কেন্দ্র। উপরন্তু করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়া রেমডেসিভির ওষুধ বাংলাকে বঞ্চনা করে অন্য রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডেরেক। তিনি বলেছেন, করোনায় মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি খারাপ। তাই সেখানে সব থেকে বেশি রেমডেসিভির পাঠানো হয়েছে। তবে গুজরাতের পরিস্থিতি তত খারাপ না হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বেশি ওষুধ পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।