দিলীপের সার্টিফিকেটে 'আনফিট' কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয়দল! তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের
রাজ্যে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি (corruption) নিয়ে অভিযোগ বিজেপি-সহ অন্য বিরোধীদেরও। কিন্তু বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (central minister) জানিয়েছেন, দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি পঞ্চায়েত (Panchayat) মন্ত্রকে।
রাজ্যে পঞ্চায়েতে দুর্নীতি (corruption) নিয়ে অভিযোগ বিজেপি-সহ অন্য বিরোধীদেরও। কিন্তু বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (central minister) জানিয়েছেন, দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি পঞ্চায়েত (Panchayat) মন্ত্রকে। যা নিয়ে একদিকে যেমন তৃণমূল (Trinamool Congress) বল পেয়েছে, অন্যদিকে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় দলকে কার্যত আনফিট বলেছেন। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সার্টিফিকেট তৃণমূল সরকারকে
বুধবার কলকাতায় এসেছিলেন, পঞ্চায়েতীরাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল। এসেছিলেন বিজেপির বুথ সশক্তিকরণের কাজ খতিয়ে দেখতে। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েত মন্ত্রকে জমা পড়েনি। এই মন্তব্যেকার্যত কেন্দ্রের বিজেপি মন্ত্রী রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে কার্যত রাজ্য বিজেপির মুখ পোড়ে। কেননা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারে বারে অভিযোগ করছেন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতিহয়েছে। ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা এবং আবাস যোজনার নাম বদলের অভিযোগও উঠেছে। যা নিয়ে রাজ্যে তদন্তে এসেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরা। এব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত চলছে, এখনই বলার মতো সময় আসেনি বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়া নয়, স্থগিত রাখা হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বিজেপির সাফাই
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা দলের নেতার এই মন্তব্যের পরে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর চেয়ার থেকে একথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জমা পড়ার কথা নয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কেন্দ্রীয়দলকে দিলীপের সার্টিফিকেট
এদিন
এব্যাপারে
দিলীপ
ঘোষকে
প্রশ্ন
করা
হলে
তিনি
বলেন,
পঞ্চায়েতে
দুর্নীতি
হয়েছে
কী
না
হয়েছে,
তা
সংবাদ
মাধ্যমই
তুলে
ধরছে।
দিলীপ
ঘোষ
বলেন,
বুধবার
তিনি
মেদিনীপুর
গ্রামীণ
এলাকায়
গিয়েছিলেন।
সেখানে
দেড়বছর
আগে
জবকার্ড
পেলেওসেই
ব্যক্তি
এখনও
কোনও
কাজ
পাননি
বলে
অভিযোগ।
তিনি
বলেন,
পঞ্চায়েতে
যাঁরা
অডিট
করেন,
তাঁরা
দৈনিক
ভিত্তিকে
নিযুক্ত
অস্থায়ী
কর্মী।
তাঁরা,
যা
লিখে
দেওয়া
হয়,
তাতেই
সই
করে
আসন
বলে
জানিয়েছেন
দিলীপ
ঘোষ।
বিজেপির
সর্বভারতীয়
সহ
সভাপতি
রাজ্যে
আসা
কেন্দ্রীয়
দলের
তদন্ত
প্রসঙ্গে
বলেন,
এখানে
এসে
তাঁরা
হোটেলে
থেকেছেন,
বিডিও-র
দেওয়া
পার্টিতে
মস্তি
করেছেন।
তারপরে
সার্টিফিকেট
দিয়ে
দিয়েছেন।
তার
ওপরেই
সব
সার্টিফিকেটআসছে।
তিনি
দাবি
করেন,
সাধারণ
মানুষের
অভিজ্ঞতাটা
ঠিক
উল্টো।
তৃণমূলের কটাক্ষ
এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে উল্লসিত তৃণমূল শিবির। তারা বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পঞ্চায়েতের কাছে খুশি হয়ে বছরের পর বছর সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছে। আর এখন যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মন্তব্য করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনগণই বিজেপিকে জবাব দিয়ে দেবে বলেও মনে করছে ঘাসফুল শিবির।
ভোটাভুটির আগেই জয় নিশ্চিত দ্রৌপদীর, রেকর্ড তৈরি করতে চলেছেন যশবন্তও