তৃণমূলে নয়া অভিযান, পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগ গড়তে শুরু ‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচি
তৃণমূল কংগ্রেস ও আম জনতাকে একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। এই অভিনব কর্মসূচিতে পঞ্চায়েতের আগে বুথ মজবুত করার লক্ষ্যে তৃণমূল।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন এক অভিযানে নামছে তৃণমূল। লক্ষ্য সেই জনসংযোগ। এর আগে চাটাই বৈঠক থকে শুরু করে বিচ বৈঠক, চলো গ্রামে যাই- এমন নানাবিধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এবার সেই জনসংযোগের লক্ষ্য নিয়েই শুরু হল 'অঞ্চলে একদিন' কর্মসূচি।
নতুন এক কর্মসূচি তৃণমূলের
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পূ্ব মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই চাটাই বৈঠক শুরু করেছিলেন। জনসংযোগের নয়া দিগন্ত উন্মোচন করে শুরু করেছিলেন বিচ বৈঠকও। তারপর দলের সুপ্রিমো মমতা বন্যোেকপাধ্যায়ের ঘোষিত দিদির সুরক্ষা কবচের মধ্যেই নতুন এক কর্মসূচি নিয়ে হাজির হল তৃণমূল।
‘অঞ্চলে একদিন’ কর্মসূচি চালু
'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে দিদির দূতরা এলাকায় এলাকায় জনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনছেন। তারই মধ্যে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ 'অঞ্চলে একদিন' কর্মসূচি নিলেন। উত্তর কলকাতায় তাঁর নিজের পাড়া থেকেই শুরু হল এই অভিযান। এরপর রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েতের আগে এই অভিযান চলবে বলে তিনি জানান।
মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে
নতুন এই কর্মসূচি চালু করে তৃণমূল মুখপাত্র জানান, বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস ও আম জনতাকে একই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করাই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। এই অভিনব কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল নেতারা প্রতি অঞ্চলে অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবেন।
সকাল থেকে রাত মানুষকে সঙ্গে
তিনি জানান, সকাল থেকে রাত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আলাপচারিতার মাধ্যমে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচি জানানো হবে, বাংলায় শাসক দল কী কী কাজ করছে। অনেক মানুষেরই জানা নেই রাজ্য সরকার কী কী কাজ করছে, রা্জ্য সরকারের দ্বারা তারা কীভাবে উপকূত হচ্ছে। সরকার মানুষের পাশে থাকার জন্য কী কী উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মসূচিতে সেইসব বিস্তারিত জানানো হবে।
শক্তিশালী করে তুলবে প্রতিটি বুথকে
মানুষ কী কী পরিষেবা পেয়েছেন, কী কী পরিষেবা পাননি, সেই অভিযোগও করতে পারবেন এই আলাপচারিতায়। সবমিলিয়ে মানুষের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠার প্রয়াস হল এই অভিনব কর্মসূচি। এর ফলে তৃণমূলের সঙ্গ মানুষের একটা বন্ধন তৈরি হবে। যা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে শক্তিশালী করে তুলবে প্রতিটি বুথকে।
সেতু বন্ধন ঘটাতে হবে স্থানীয় নেতৃত্বকে
তৃণমূল নেতারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে যদি মানুষের সঙ্গে বন্ধন তৈরি কর, তবে কারও সাধ্যি নেই সেই বন্ধনকে ছিন্ন করার। তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের দল, তাই তারা মানুষের জন্য কাজ করবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু কীভাবে সেই কাজগুলি বাস্তবায়িত বা রূপায়িত হবে সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। শুধু সরকার পরিষেবা দিচ্ছে বললেই হবে না, সেই পরিষেবা আদৌ মানুষের দুয়ারে পৌঁছচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে। এই সেতু বন্ধন ঘটাতে হবে স্থানীয় নেতৃত্বকেই।