তৃণমূল কংগ্রেস পথকে করেছে প্রতিবাদের মাধ্যম, বিজেপির হাতিয়ার সোশাল মিডিয়া! যুদ্ধ জারি
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু আর জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সম্ভাবনার আতঙ্ক গ্রাস করেছে জনমানসে। উত্তর-পূর্বের সমস্ত রাজ্যের মতো বাংলাও জ্বলছে। প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বাংলার শাসক দলও। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। আর কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি আশ্রয় করেছে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াকে।

আন্দোলন করতে হবে গণতান্ত্রিক পথে
নাগরিকত্ব সংশোধন বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই আগুন জ্বলছে রাজ্য রাজ্যে। আগুন জ্বলছে বাংলাতেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সাবধান করছেন, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ নয়, আন্দোলন করতে হবে গণতান্ত্রিক পথে। কিন্তু তা কর্ণপাত না করেই এক শ্রেণির মানুষ তাণ্ডব চালিয়েছেন।

মমতা নিজেই পথে নেমেছেন
শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই পথে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনিই পথে নেমে নেতৃত্বে দিচ্ছেন নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের প্রতিবাদে সংঘটিত গণ আন্দোলনকে। ইতিমধ্যে তিনটি বড় প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বুধবারও তিনি প্রতিবাদ মিছিল করেন হাওড়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত।

গণতান্ত্রিক পথেই হোক সবার প্রতিবাদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদে সামিল হয়েই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, প্রতিবাদের অনেক পন্থা আছে। গণতান্ত্রিক পথে সবাই প্রতিবাদ করুন। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। তৃণমূল কোনও হিংসাত্মক আন্দোলনকে সমর্থন করে না। ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ তাই বরদাস্ত করা হবে না।

ঐক্যের পথকে ভেঙে দেবেন না
আমরা মানুষের পাশে আছি, আপনারা সবাই প্রতিবাদ করুন, কিন্তু হিংসা ছড়াবেন না, সরকারি, বেসরকারি কোনও সম্পত্তিই ধ্বংস করবেন না। আমাদের সম্মিলিত আওয়াজ পৌঁছে দিতে হবে দিল্লির দরবার পর্যন্ত। আমাদের ঐক্যই তা করতে পারে। অযথা ভাঙচুর-হিংসা ছড়িয়ে ঐক্যের পথকে ভেঙে দেবেন না।

মমতার বিরুদ্ধে হাতিয়ার সোশাল মিডিয়া
মমতা যখন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রূপ দিতে পথে নেমেছেন, তখন বিজেপি সোশাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছে। রাজ্যে অশান্তির জেরে মানুষের হয়রানিকে হাতিয়ার করে সোশা্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। হিংসার পিছনে মমতার সরকারের মদত রয়েছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আগামী পাঁচ বছর কর আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না কেন্দ্র