বাংলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দায়ী মোদী সরকার, ডিবেটের ডাক তৃণমূল সাংসদের
বাংলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে দায়ী মোদী সরকার, ডিবেটের ডাক তৃণমূল সাংসদের
বাংলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সম্প্রতি বেড়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের মোদী সরকারকে দায়ী করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কাকলি ঘোষ দস্তিদার যৌছ সংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, বিজেপি সরকার কেন দায়ী রাজ্যের করোনা বৃদ্ধি জন্য। সেইসঙ্গে ডেরেক ডিবেটের আহ্বানও জানান বিজেপিকে।
বিজেপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে
বিজেপি অভিযোগ করছে, পরীক্ষা সব রাজ্যের তুলনায় কম হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যে পরীক্ষার হার অন্য সমস্ত রাজ্যের তুলনায় কম, মৃত্যুর হার বেশি। তৃণমূল তার পাল্টা দেয়, ঘণ্টা বাজিয়ে, বাতি জ্বেলে আর হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়িয়ে করোনা সংক্রমণ রোখা যায় না।
বিস্ফোরক অভিযোগ কাকলির
এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, বাংলায় যেটুকু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তার জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকারই। কেন্দ্র টেস্টিংয়ের জন্য ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছে। তার ফলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ রাজ্যে কিট পাওয়া যায়নি সঠিক মাত্রায়। কেন্দ্র কোনও কিটই দিতে পারেনি।
ডেরেকের ডিবেটের আহ্বান
কাকালিদেবীর এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন আবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপিকে। তিন বলেন, মর্টালিটি রেট রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ নয়। বাংলায় টেস্টিং কম হয়েছে, তার কারণ বাংলায় কিট কম ছিল। কেন্দ্র কিট পাঠায়নি, যদিও বা পাঠাল, তাও আবার ত্রুটিপূর্ণ। তিনি এই মর্মে ডিবেটের আহ্বান করেন। বলেন, তাঁর সঙ্গে ডিবেটে বসুক বিজেপি।
ডেরেকের আরও তোপ
ডেরেক বললেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নাকি অনেক ভেবেছে কেন্দ্রের সরকার। এত ভেবেছে যে দুই দফায় টানা ৪০ দিন লকডাউন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে পারল না। পরিযায়ী শ্রমিকরা খালি পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন। সেদিকে একটিবারও খেয়াল করল না সরকার।
সুদীপের তোপ মোদী সরকারকে
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লকডাউন ঘোষণা হল কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই। কোনও কল্পনাশক্তিই নেই এই সরকারের। একাবারও ভাবল না পরিযায়ী শ্রমিকদের কী হবে! তাঁরা কী করে বাড়ি ফিরবে, কী খাবে, কোথায় থাকবে। ভাবল না ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করতে যাওয়া মানুষগুলোর কথা। ভাবল না পড়ুয়াদের কথা, পর্যটকদের কথা। আর গরিব কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।
কাকলির অর্থনীতির বর্তা
তৃণমূলের আর এক সাংসদ বলেন, যাদের কাজের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি, কেন্দ্র তাদেরকেই অবহেলা করছে। একবার বলছে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। একবার বলছে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্র যখন কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না, তখন মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার বন্দোবস্ত করলেন।