বিজেপিকে সোজা মাঠের বাইরে ফেললেন ডেরেকরা, ভোঁতা করলেন একে একে সব বাণ
বিজেপিকে সোজা মাঠের বাইরে ফেললেন ডেরেকরা, ভোঁতা করলেন একে একে সব বাণ
বিজেপিকে সোজা মাঠের বাইরে ফেলে দিলেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ান ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জুটি। একেবারে আক্রামণাত্মক ভঙ্গিমায় বিজেপির এক একটা বাণ সমূলে উপড়ে ফেললেন তাঁরা। একে একে প্রতিটা অভিযোগের বিরুদ্ধে শানালেন ক্ষুরধার বাক্যবাণ। কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে আর কোনও কিছুই রেয়াত করলেন না তাঁরা।
বেশি রাজনীতি হচ্ছে বাংলায়
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যখন শাসক-বিরোধী সবাইকে একজোট হয়ে ময়দানে নামার দরকার ছিল, তখন সবথেকে বেশি রাজনীতি হচ্ছে বাংলায়। শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে শানাচ্ছেন অভিযোগ। তা নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছেই।
সব অভিযোগ উৎখাত তৃণমূলের
প্রথমের দিকে রাজ্য সরকার এবং শাসক দল একটি ডিফেন্সিভ মোডে ছিল। বিজেপি একের পর এক ইস্যুতে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছিল তৃণমূলকে। অবশেষে ডিফেন্সিভ মোড থেকে অফেন্সিভ মোড অর্থাৎ আক্রমণাত্মক হল তৃণমূল। ডেরেক-সুদীপরা একে একে বিজেপির সব অভিযোগ উৎখাত করে দিলেন।
পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবেনি কেন্দ্র
ডেরেক বললেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নাকি অনেক ভেবেছে কেন্দ্রের সরকার। এত ভেবেছে যে দুই দফায় টানা ৪০ দিন লকডাউন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে পারল না। পরিযায়ী শ্রমিকরা খালি পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে বাড়ি ফিরছেন। সেদিকে একটিবারও খেয়াল করল না সরকার।
সুদীপের তোপ মোদী সরকারকে
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লকডাউন ঘোষণা হল কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই। কোনও কল্পনাশক্তিই নেই এই সরকারের। একাবারও ভাবল না পরিযায়ী শ্রমিকদের কী হবে! তাঁরা কী করে বাড়ি ফিরবে, কী খাবে, কোথায় থাকবে। ভাবল না ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করতে যাওয়া মানুষগুলোর কথা। ভাবল না পড়ুয়াদের কথা, পর্যটকদের কথা। আর গরিব কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।
যারা অর্থনীতির ধারক, তারাই অবহেলিত
তৃণমূলের আর এক সাংসদ বলেন, যাদের কাজের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি, কেন্দ্র তাদেরকেই অবহেলা করছে। একবার বলছে বাসের ব্যবস্থা করা হবে। একবার বলছে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্র যখন কোনও সিদ্ধান্তই নিতে পারছে না, তখন মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের আনার বন্দোবস্ত করলেন।
কেন্দ্রকে পাল্টা তৃণমূল সাংসদদের
বিজেপি অভিযোগ করছে, পরীক্ষা সব রাজ্যের তুলনায় কম হয়েছে। তৃণমূল তার পাল্টা দেয়, কেন্দ্রের সরকার ঘণ্টা বাজিয়ে, বাতি জ্বেলে আর হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছড়িয়ে করোনা সংক্রমণ রোখা যাবে না। এ জন্য দরকার পিপিই। দরকার টেস্টিং কিটের। সে সবের বালাই নেই।
বিস্ফোরক অভিযোগ কাকলির
বাংলায় যেটুকু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তার জন্য দায়ী কেন্দ্র সরকারই। কেন্দ্র টেস্টিংয়ের জন্য ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছে। তার ফলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ রাজ্যে কিট পাওয়া যায়নি সঠিক মাত্রায়। কেন্দ্র কোনও কিটই দিতে পারেনি। বিস্ফোরক অভিযোগ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের।
ডেরেকের ডিবেটের আহ্বান
ডেরেক ও'ব্রায়েন আবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিজেপিকে। তিন বলেন, মর্টালিটি রেট রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ নয়। বাংলায় টেস্টিং কম হয়েছে, তার কারণ বাংলায় কিট কম ছিল। বিজেপি প্রয়োজনে ডিবেটে বসুক। উল্লেখ্য, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যে পরীক্ষার হার অন্য সমস্ত রাজ্যের তুলনায় কম, মৃত্যুর হার বেশি।