আদালতের গায়ের চামড়া এত পাতলা কেন, ‘শক্তির নিষ্ঠুর প্রদর্শন’-এ প্রশ্ন মহুয়ার
বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে কড়া রায় দান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রশান্ত ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সমালোচনায় গর্জে উঠলেন এবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের সমালোচনার জেরে আদালত অবমাননার যে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তা 'শক্তির নিষ্ঠুর প্রদর্শন' বলে ব্যাখ্যা করেন মহুয়া।
|
আদালত, তোমার গাযের চামড়া এত পাতলা কেন?
তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রশান্ত ভূষণের আদালত অবমাননার মামলায় সিনিয়র অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণকে দোষীসাব্যস্ত করার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করলেন। শুক্রবার রায় ঘোষণার পরে মহুয়া একটি টুইট বার্তায় বলেন, যদি আইন এবং সত্য নির্ভর হয় দেশের শীর্ষ আদালত, তবে তার গাযের চামড়া এত পাতলা কেন?
|
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ‘শক্তির নিষ্ঠুর প্রদর্শন' : মহুয়া
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘শক্তির নিষ্ঠুর প্রদর্শন' বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, "যখন সিএএ, ৩৭০ ধারা এবং হাবিয়াস কর্পাসের মতো বিষয়গুলি উত্থাপন হয়, তখন কি এত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়?" কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালত কড়া রায় দিল সিনিয়র অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে।
|
'মানুষ আজও বলেন- আমি কোর্টে যাব'
বাংলার তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, "মনে রাখবেন, লক্ষ লক্ষ দরিদ্র মানুষ আজও বলেন- আমি কোর্টে যাব, বিচার চাইতে তাঁরা যাবেন। কিন্তু তাঁরা যদি ক্ষমতার এমন নিষ্ঠুর প্রদর্শন দেখেন, তবে কার উপর তাঁরা ভরসা করবেন। তাই যদি হয়, এটি আমাদের সকলকে লজ্জা দেবে।"

প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, প্রশান্ত ভূষণ দোষীসাব্যস্ত
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার বিষয়টি শীর্ষ আদালত ভালোভাবে নেয়নি। প্রশান্ত ভূষণ পর পর দুটি টুইট করে আদালত অবমাননা করেছেন বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মর্মে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

প্রশান্ত ভূষণে যে মন্তব্য করেছিলেন
এরপর প্রশান্ত ভূষণের শাস্তি নিয়ে আদালত ২০ অগাস্ট নিজের রায় জানাবে। টুইটে প্রশান্ত ভূষণ লিখেছিলেন, ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদরা যখন ৬ বছর আগের দিকে ফিরে তাকাবেন, তখন দেখতে পাবেন- ঘোষিত জরুরি অবস্থা না হলে কীভাবে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা যায়। সুপ্রিম কোর্ট ও শীর্ষ আদালতের ৪ বিরাচপতির ভূমিকাও ইতিহাসবিদরা বিচার করতে পারবেন।