কোন সমীকরণে বিসর্জন রায়ে পিছু হটল রাজ্য, কী যুক্তি সাজালেন তৃণমূল সাংসদ-আইনজীবী
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিসর্জন রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। কিন্তু ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল রাজ্য সরকার।
'বিসর্জন নির্দেশিকা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জয় হয়েছে তাঁদেরই। দুর্গা পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জের কোনও প্রশ্নই নেই।' শুক্রবার সাফ জানালেন তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এদিন আর সু্প্রিম কোর্টে যাচ্ছে না রাজ্য সরকার।
এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হাইকোর্টের রায় রাজ্যের পক্ষেই গিয়েছে। রাজ্য ঠিক করবে কবে বিসর্জন হবে। যদি রাজ্য সরকার মনে করে মহরমের দিন বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া যাবে, তা হলে রাজ্য সরকার দিতেই পারে।' হাইকোর্টের রায় কোনওভাবেই রাজ্য সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের পরিপন্থী নয় বলে মনে করছে রাজ্য।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকোর্টের বিসর্জন রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। কিন্তু ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সু্প্রিম কোর্টে যাচ্ছে না কেন্দ্র। কেননা, হাইকোর্টের রায় তাঁদের পক্ষেই গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের নিরঞ্জন নির্দেশিকা নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়। হাইকোর্ট একাদশীর দিনও বিসর্জন চলবে বলে অনুমতি দেয়। মহরম ও বিসর্জনের শোভাযাত্রা পৃথক পৃথক রাস্তা দিয়ে যাবে বলে জানায় হাইকোর্ট। পুরো বিষয়টি রাজ্য প্রশাসন তত্ত্বাবধান করবে বলেও জানান কলকাতা হাইকোর্টের প্রধাবন বিচারপতি রাকেশ তিওয়ারি।
এই রায়কে রাজ্য সরকারের হার বলে মনে করা হচ্ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। শুক্রবার এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে না। কারণ রায় খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছে, এই মামলার রায় তাঁদের পক্ষেই গিয়েছে। তাই চ্যালেঞ্জ জানানোর কোনও প্রশ্নই নেই।