পড়ুয়াদের ন্যায্য প্রতিবাদে গায়ে ফোসকা, 'নেশাখোরদের আন্দোলন' বলল তৃণমূল
প্রসঙ্গত, সিপিএম বা বিজেপি নয়, এখন তৃণমূল কংগ্রেসের শত্রু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা, এ কথা 'ওয়ানইন্ডিয়া বাংলা' আগেই তুলে ধরেছিল। এ বার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল।
আরও
পড়ুন:
সিপিএম,
বিজেপি
নয়,
তৃণমূলের
'দুশমন'
এখন
যাদবপুরের
পড়ুয়ারা
আরও
পড়ুন:
যাদবপুর-কাণ্ডের
ঢেউ
মুম্বই,
দিল্লি,
ব্যাঙ্গালোরে,
পথে
নামলেন
পড়ুয়ারা
আরও
পড়ুন:
তোমাদের
আন্দোলনে
নৈতিক
সমর্থন
আছে,
ব্যবস্থা
নেব,
পড়ুয়াদের
বললেন
রাজ্যপাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হওয়ার সুবাদে বরাবরই দলের ভিতরে ও বাইরে অতিরিক্ত আনুকূল্য পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর পাঁচজনের মতো রাস্তায় নেমে দিনের পর দিন আন্দোলন করতে হয়নি, পুলিশের লাঠিও খাননি। সেই ব্যক্তিই এ বার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে নেমেছেন।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন "মদ, গাঁজা, চরস বন্ধ, তাই কি প্রতিবাদের গন্ধ?" অর্থাৎ বুঝিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এতদিন এইগুলি 'খেয়ে জীবনধারণ' করতেন! এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন!
"বর্তমান উপাচার্য সরে গেলে আরাবুল ইসলাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবে"
বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেছেন, "এই লড়াইটা এখন রাজ্য সরকার বনাম পড়ুয়াদের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শাসক দল দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। এমন কুৎসা যত করবেন, তত জনমানস থেকে বিচ্ছিন্ন হবেন।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা রায়গঞ্জের সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, "আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, সেটা ভেবে আজও গর্ব বোধ করি। যারা টুকে পাশ করে, নকল ডিগ্রি নিয়ে ঘোরে, তারা এ সব কথা কী করে বলে? এরা মদ খাইয়ে, গাঁজা খাইয়ে নিজেদের বাহিনী তৈরি করেছে। সেই বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের পিছনে। নিজেরা মদ, গাঁজা সরবরাহ করে, সবাইকেও তেমনই ভাবে। আসলে পুলিশ দিয়ে যখন আন্দোলন ভাঙতে পারতে পারছে না, তখন কুৎসা করছে। এটাই এদের সংস্কৃতি।"
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর এক প্রাক্তনী তথা সিপিএমের ভূতপূর্ব সাংসদ শমীক লাহিড়ী বলেন, "যেমন দল, তার তেমন রুচি। দেখবেন বর্তমান উপাচার্য সরে গেলে আরাবুল ইসলাম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবে।"
সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার বলেন, "এদের আমলে সারা রাজ্যই তো মদ, গাঁজা, চরসের ঠেকে পরিণত হয়েছে। আসল কথা হল, এরা প্রতিবাদী আন্দোলন করে ক্ষমতায় এলেও প্রতিবাদ সহ্য করতে পারছে না। যেখানেই প্রতিবাদী কণ্ঠ উঠছে, সেখানেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে।"
শিক্ষাবিদ সুকান্ত চৌধুরী বলেছেন, "এই আন্দোলন তো শাসক দলের বিরুদ্ধে নয়। উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে। তা হলে ওদের এত গায়ে লাগছে কেন?"