জনতার প্রশ্নই শুনতে চাইলেন না তৃণমূল বিধায়ক! হিতে বিপরীত ‘দিদিকে বলো’ অভিযানে
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে জনতার প্রশ্নই শুনতে চাইলেন না তারকা বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। স্থানীয় মানুষ বিধায়ককে তাঁদের না পাওয়ার আর্তি জানাতে এসেছিলেন।
'দিদিকে বলো' কর্মসূচিতে বেরিয়ে জনতার প্রশ্নই শুনতে চাইলেন না টলিউড তারকা তথা বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। স্থানীয় মানুষ বিধায়ককে তাঁদের না পাওয়ার আর্তি জানাতে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা তা না পেরে ব্যর্থ মনোরথে ফিরলেন। বিধায়ক তাঁদের প্রশ্ন শুনে জানালেন, এখন এসবের সময় নয়। সময় এলেই এসবের উত্তর দেব।
এখন সময় নয় কথা শোনার!
বারাসতের বিধায়ক জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন আপনপল্লি ও রামকৃষ্ণল্লিতে। সেখানে সিনেমার নায়ককে দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। স্থানীয় মানুষ বিধায়ককে পেয়ে অভিযোগ করে বসেন রাস্তাঘাট, পানীয় জল নিয়ে। কিন্তু সেইসব এড়িয়ে চলে যান বিধায়ক। চিরঞ্জিত বলেন, এখন এটার সময় নয়।
বিধায়ককে প্রশ্ন, আশ্বস্ত করলেন চেয়ারম্যান
ভোটের আগে সেলিব্রেটি প্রার্থীর পরিবর্তে স্থানীয় প্রার্থী করার দাবি উঠেছিল বারাসতে। তারকা বিধায়কের এহেন ভূমিকায় ফের সেই হোমের আগুনে ঘি পড়ল। তবে চিরঞ্জিত না শুনতে চাইলেও, বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় সবার দাবি শোনেন। তাঁদের আশ্বস্ত করেন।
‘দিদিকে বলো’ কি লোক দেখানো
দলীয় কর্মী পেশায় রাজমিস্ত্রি গোকুল সরকারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন বিধায়ক। সেখান থেকে বের হতেই স্থানীয় মানুষ নানা অভাব-অভিযোগ করেন। তা এড়িয়ে গিয়ে টোটোয় চেপে বসেন বিধায়ক চিরঞ্জিত। এখন শোনার সময় নয়, অনেক কর্মসূচি আছে বলে তিনি এড়িয়ে যান। স্থানীয়দের আক্ষেপ, দিদি বলেছেন আমাদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন। তাই বলতে এসেছিলাম। কিন্তু বিধায়ক তো শুনলেনই না। কেউ কেউ এই কর্মসূচিকে লোক দেখানো বলে ব্যাখ্যা করেন।
তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে
এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। এলাকায় কিছু পরিষেবায় গলদ রয়েছে স্বীকার করে নিয়েই তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে। এলাকার মানুষ সমস্ত পরিষেবা পাবে। কর্মীরা এলাকায় গিয়ে গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার বাড়িতে সটান হাজির তৃণমূল সাংসদ, 'দিদিকে বলো' অভিযানে সারলেন আহার ]
[আরও পড়ুন: অর্জুন-গড়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, দুই নেতা-নেত্রীর লড়াই গড়াল প্রশাসনের দরজায়]