পুরসভা নির্বাচনের আগে দিনবাজারে নতুন দোকান দেওয়ার ঘোষণা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
পুরসভা নির্বাচনের আগে দিনবাজারে নতুন দোকান দেওয়ার ঘোষণা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
পুরসভার নির্বাচনের আগে দিনবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩২ জন ব্যবসায়ীকে দোকান দেবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিন এমনটাই ঘোষনা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ২০১৫ সালে ৭ই মে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটে জলপাইগুড়ি দিনাবাজারে। সেই সময় ১১৬ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে এসে দাড়ায় রাজ্য সরকার। পাঁচ তলা মার্কেট কমপ্লেক্স বানানোর কাজ শুরু হয়েছিলো। কিন্তু ব্যবসায়ীদের মনে প্রশ্ন উঠে দোকান ঘর নিতে কত টাকা দিয়ে কেনা হবে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ীরা যাতে করে পয়সা না নিয়ে দোকান ঘর দেওয়া হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।এদিন জলপাইগুড়িতে এসে এক টাকার বিনিময়ে দোকান ঘর ১৩২ জনকে দেবার কথা ঘোষনা করেন মন্ত্রী।
এদিন মন্ত্রী জলপাইগুড়ি দিনবাজারে পরিদর্শনে আসেন। পরে জেলাশাসকের দপ্তরে দিনবাজারের ব্যবসায়ী, পুরসভার প্রতিনিধি ও জেলাশাসকের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান দিনবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য সুখবর মুখ্যমন্ত্রী দুহাত তুলে তাদের দিয়েছেন। ১৭ কোটি টাকা খরচ করে মোট ৪৭১ টি স্টল করা হয়েছে।তার মধ্যে ১৩২ টি স্টল ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে বিনামুল্যে আর ৩৩৯ টি স্টল কর্মাশিয়াল ভাবে বিক্রি হবে। আগুনে পুড়ে যাওয়া দিনবাজারের মার্কেট কমপ্লেক্স এবং করলা নদীর উপর দুর্বল দোলনা সেতু ভেঙে অত্যাধুনিক নতুন সেতু কাজ চলছে জলপাইগুড়িতে।এই দুটি কাজেরই খুব তাড়াতাড়ি শেষ হবে বলে জানান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিনে জেলাশাসকের দপ্তরের বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্দীপ মাহাত, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৭ মে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল জলপাইগুড়ি দিনবাজারের মার্কেট । পরবর্তীতে ওখানেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করার কাজ শুরু করা হয়। এই কমপ্লেক্সে মোট ৩৩৭ টি দোকান ঘর রয়েছে। মন্ত্রী জানান, আগুনে এবং পরবর্তীতে কমপ্লেক্স তৈরি করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩২ জন ব্যবসায়ীদের লটারির মাধ্যমে সুলভে ঘর দেওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনকে মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। দিনবাজার ব্যবসায়ী সমিতির তরফে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিনামূল্যে কমপ্লেক্সে দোকান ঘর দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে বলে সমিতির সূত্রে ।
বিনামূল্যে দোকান ঘর দেওয়া সম্ভব নয় বলে আগেও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছিলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে বিষিয়টি জানানো হলে মুখ্যমন্ত্রী বিনে পয়সায় দোকান দেবার জন্য সম্মতি দেন। এদিনের বৈঠক শেষে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি দিনবাজারের মার্কেট কমপ্লেক্স এবং করলা নদীর উপর নির্মীয়মাণ অত্যাধুনিক সেতু চালু করতে পারব। এদিনের বৈঠকে দিনবাজারের মার্কেট কমপ্লেক্সের বৈদ্যুতিন কাজ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামি দুই মাসের মধ্যেই এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। দিনবাজারের মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকান ঘর লটারির মাধ্যমে বন্টন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দোকান ঘরগুলি বন্টন করার পর যা আয় হবে সেই আয়ের অর্থ বাজারের পরিকাঠামোর উন্নয়নেই খরচ করা হবে।