থমথমে রায়দীঘিতে তৃণমূল নেতারা, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ রায়দীঘির কাশীনগর থেকে মিটিং সেরে ফিরছিলেন ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ, সেই সময় খারি গ্রামে ২৫-৩০ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল তাঁদের ওপর হামলা চালায়। তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় এবং অন্তত আটজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। মৃতদের নাম হল যথাক্রমে হাসান গাজি, হাফিজুল গাজি, আতিয়ার মোল্লা এবং ছাপু মোল্লা। জখমদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তোপ দাগা হয়েছে সিপিএম এবং বিজেপি-র উদ্দেশে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "সিপিএম এবং বিজেপি বাংলায় সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে। হিংসার রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বাংলায়।" দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ও এই ঘটনায় সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁ অভিযোগ, পুরনো রাস্তা অর্থাৎ সন্ত্রাসের পথ ধরে ফের অস্তিত্ব রক্ষা করতে চাইছে সিপিএম।
সিপিএম
নেতা
কান্তি
গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিরুদ্ধে
এফআইআর
রুজু
হওয়ায়
বেজায়
খাপ্পা
দল।
সিপিএম
নেতা
শ্যামল
চক্রবর্তী
বলেন,
"আমাদের
দলের
কর্মীরা
দায়িত্বশীল।
কেন
শুধু
শুধু
ওরা
খুন
করতে
যাবে?"
সিপিএম
রাজ্য
সম্পাদক
বিমান
বসু
বলেছেন,
"এই
ঘটনায়
সিপিএমকে
জড়ানো
হলেও
আসলে
এটা
তৃণমূল
কংগ্রেসের
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের
ফল।"
তাঁর
বক্তব্য,
রাজ্যের
বিভিন্ন
অঞ্চলের
মতো
রায়দীঘিতেও
শাসক
দলের
সন্ত্রাসের
জেরে
সিপিএম
কর্মীরা
সিঁটিয়ে
রয়েছেন।
তাই
তাঁদের
বিরুদ্ধে
হামলার
অভিযোগ
তোলা
অবান্তর।