প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘরে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ঘর ফিরিয়েও উপভোক্তাকে নতুন ঘরের আশ্বাস
প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের বিলাসবহুল পার্টি অফিস। একথা জানাজানি হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের নেতৃত্ব।
প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের বিলাসবহুল পার্টি অফিস। একথা জানাজানি হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূলের নেতৃত্ব। সূত্রের খবর অনুযায়ী,উপভোক্তাকে আপাতত পার্টি অফিসেই থাকতে দেওয়া হচ্ছে। নতুন ঘর তৈরি করার পর উপভোক্তা শংকর মাঝিকে সেখান থেকে সরানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরে গ্রামের বৃদ্ধ শঙ্কর মাঝির নাম উঠেছিল। পরের দিনই সেই ঘরে ঢুকত পারলেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য বলছেন চাপে পড়েই সেই ঘর ফেরাল তৃণমূল। উপভোক্রা শংকর মাঝির অভিযোগ, তাঁর ছবি ব্যবহার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামরঞ্জন সাঁতরা প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার ঘর আদায় করে নেন পঞ্চায়েতের কাছ থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ শংকর মাঝিকে ঘর না দিয়ে সেখানেই তৈরি করা হয় তৃণমূলের বিলাস বহুল পার্টি অফিস।
জেনে শুনের কথাটি বলার সাহস হয়নি শংকর মাঝি কিংবা স্থানীয়দের। কিন্তু কাটমানি নিয়ে শোরগোল শুরু হতেই তোড়জোড় শুরু হয়। দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয়রা সরব হতেই প্রধান ও উপপ্রধানরা উপভোক্তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে দরজার দাবি না পাওয়া যাওয়ার বাড়ির দেওয়ালে শংকর মাঝির নাম লিখে দেওয়া হয়। পরের দিনই চাবি খুঁজে নিয়ে এসে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শংকর মাঝিকে।
তবে ঘরের চাবি পেয়ে খুশি বৃদ্ধ শংকর মাঝি। তিনি বলেন, প্রধান তাঁর হাতে ঘরের চাবি তুলে দিয়েছেন। তবে ঘরে ঢুকে অবাক শংকর মাঝি। ঘরে রয়েছে এসি, এলইডি টিভি, ঝাড়বাতি, চেয়ার, আরও কত কী। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিনয় দাস জানিয়েছেন, আপাতত শংকর মাঝি সেখানেই থাকবেন। কিছুদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামরঞ্জন সাঁতরা শংকর মাঝিকে ঘর বানিয়ে দেবেন।
তবে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি তাদের চাপেই ঘর সংকর মাঝির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানিয়েছেন, তদন্ত দুর্নীতি ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।