পার্থদা'র গ্রেফতারে অস্বস্তি! অবস্থান ঠিক করতে অভিষেকের নেতৃত্বে বৈঠক তৃণমূলে
বিশেষ করে বান্ধবী'র ফ্ল্যাট থেকে ২০ কোটি টাকা পাওয়ার পরেই অস্বস্তি আরও বেড়েছে। এমনকি উদ্বেগ বেড়েছে তৃণমূলেও। যদিও এরপরেই ক্রমশ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে শাসকদল। যার বাড়ি থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে
দফায় দফায় জেরা শেষে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশেষ করে বান্ধবী'র ফ্ল্যাট থেকে ২০ কোটি টাকা পাওয়ার পরেই অস্বস্তি আরও বেড়েছে। এমনকি উদ্বেগ বেড়েছে তৃণমূলেও। যদিও এরপরেই ক্রমশ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইস্যুতে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে শাসকদল। যার বাড়ি থেকে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে তাঁরা বলতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন কুণাল।
এমনকি এই বিষয়ে তৃণমূলের মহাসচিবের যোগ নিয়েও কার্যত কৌশলি মন্তব্য করেন তিনি। হঠাত এমন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন উঠতে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি বুঝে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশ থেকে সরে গেল তৃণমূল।
আর এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ক্যামেক স্ট্রিটের অফিসে হয় এই বৈঠক। যেখানে ফিরহাদ হকিম, অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠক রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
মূলত তৃণমূল মহাসচিবের গ্রেফতারের পরে তৃণমূলের অবস্থান কি হবে তা নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। বিশেষ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পর বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বহিষ্কারের দাবি তুলেছেন। তারপরও রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রী নীরব।
এখনও তিনি তৃণমূলের মহাসচিব পদে রয়েছেন। দলীয় পরিকাঠামো অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীচেই তাঁর অবস্থান।এমনকি তৃণমূল থেকে পার্থবাবুকে ছেটে ফেলতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হতে পারে। এই অবস্থায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা এই বৈঠকে রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
উল্লেখ্য, ইডির আধিকারিকরা শুক্রবার সকাল সাতটায় হঠাৎ হানা দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তারপর নয় নয় করে ২৭ ঘণ্টা জেরার পর ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরা শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আদালতে তোলা হয়েছে। সেখানে দুদিনের ইডি হেফাজতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।