সংবিধান বলছে যখন খুশি মাংস খেতে পারি, নবরাত্রিতে মাংসের দোকান বন্ধ নিয়ে সরব মহুয়া মৈত্র
বিজেপি পরিচালিত দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সব মাংসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সম্প্রতি। বিজেপির এই ফতোয়া জারি নিয়ে এবার সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। বুধবার দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (এসডিএমসি)–কে একহাত নিলেন মহুয়া মৈত্র। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে তাঁকে মাংস খাওয়ার অধিকার দিয়েছে সংবিধান এবং বিক্রেতাদেরও স্বাধীনতা রয়েছে ব্যবসা করার।
সম্প্রতি একটি চিঠিতে, দক্ষিণ দিল্লির মেয়র মুকেশ সূর্যান বলেছেন যে জনসাধারণের অনুভূতি এবং ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে ২ থেকে ১১ এপ্রিল উৎসব চলাকালীন নবরাত্রিতে ন’দিনের জন্য মাংসের দোকানগুলি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের সাংসদ টুইটে বলেন, 'আমি দক্ষিণ দিল্লিতে থাকি। আমি যখন খুশি মাংস খেতে পারি আমার সংবিধান আমায় সেই অনুমতি দেয় এবং দোকানদারদেরও স্বাধীনতা রয়েছে ব্যবসা করার।’
সোমবার এসডিএমসি মেয়র মুকেশ সুর্যান জানান যে ভবিষ্যতে মাংসের দোকানের লাইসেন্স তখনই দেওয়া হবে যদি বিক্রেতারা নবরাত্রি উৎসবের সময় মাংসের দোকান বন্ধ করতে রাজি থাকেন। এছাড়াও দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এই সময়ে যাতে মাংসের দোকানগুলি বন্ধ থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য অফিসারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তিনি পরে বলেন, এই নির্দেশ লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা দিতে হবে। মেয়র এও জানিয়েছেন যে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও নবরাত্রির সময় মদের ওপর ছাড় দেওয়া প্রত্যাহার করুন এবং সম্ভব হলে এই ন’দিন মদের দোকান বন্ধ রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন।
এছাড়াও পূর্ব দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নবরাত্রির সপ্তমী, অষঞটমী ও নবমী এই তিনদিন মাংসের দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন। প্রশঙ্গ, গত ২ এপ্রিল থেকে নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এর আগে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশের দিন কয়েক পরই দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।