পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আনছে সিপিএম! আমডাঙা-কাণ্ডে লড়াইকে ‘স্বাগত’ জ্যোতিপ্রিয়র
‘পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে অস্ত্র আসছে বারাসতে। সেই অস্ত্র নিয়েই আমডাঙায় হামলা চালিয়েছে সিপিএম।’ এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
'পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে অস্ত্র আসছে বারাসতে। সেই অস্ত্র নিয়েই আমডাঙায় হামলা চালিয়েছে সিপিএম।' এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আমডাঙায় গণহত্যাকাণ্ডে সিপিএম-বিজেপির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, সিপিএম বোমা আর গুলির লড়াই ছাড়া কিছুই বোঝে না। সেই কারণেই একে ৪৭, এসএলআর নিয়ে রেখেছে। বিজেপিও তাদের দোসর হয়েছে। দুই দল মিলে চক্রান্ত করছে। তারই জেরে রক্ত ঝরেছে আমডাঙায়। উল্লেখ্য, আমডাঙার তাড়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। নিহত হন দুই তৃণমূল কর্মী ও এক সিপিএম কর্মী। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৮ জন।
মন্ত্রী বলেন, আমরাও দেখতে চাই, তৃণমূলকে মারার কত দম রয়েছে ওদের। বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র আনুক, কিংবা পাকিস্তান থেকে ওদের রক্ষা নেই, পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই হবে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, বিএসএফের সহায়তাতেই ওদের হাতে অস্ত্র আসছে। তারপর ৩৪ বছর ধরে কিছু অস্ত্র মজুতও করে রেখেছে সিপিএম। সেসব নিয়েই অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:সংরক্ষণের গেরোয় 'বাদ' পুরপ্রধানরা! এবার ভোটে বিপাকে পড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস]
তিনি আরও বলেন, এভাবে হিংসা ছড়িয়ে, রক্ত ঝরিয়ে তৃণমূলকে শেষ করা যাবে না। আমডাঙার মাটিতেই আমরা মোক্ষম জবাব দেব। সেই জবাব দেব গণতান্ত্রিক পথেই। তবে তিনি অস্ত্র মজুতের কথা বললেও, পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে মানতে নারাজ মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: অধীরের গড়ে টিকি পাওয়া যাচ্ছে না কংগ্রেসের, মমতার পাশাপাশি উড়ছে বিজেপির নিশান]
উল্লেখ্য, এদিন এলাকা থেকে প্রচুর বোমা, কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল বোমা, কৌটো বোমা। প্রশ্ন উঠছে, এত অস্ত্র মজুত ছিল, পুলিশ কেন তা আগে জানতে পারল না, কেনই বা তারা সেই অস্ত্র আগে উদ্ধার করতে পারেনি, সেই প্রশ্নও উঠে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: 'মোদী-দিদি এক কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ', আমডাঙা হিংসায় গোপন আঁতাতের তোপ ইয়েচুরির]