দলীয় সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ
তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি ওপর আক্রমণ অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। দলীয় সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ওপর আক্রমণ।
তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি ওপর আক্রমণ অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। দলীয় সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের ওপর আক্রমণ। সরগরম কুমারগ্রাম ব্লক। গতকাল গভীর রাতে কুমারগ্রাম ব্লকের চকচকাতে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেস।
তাদের দাবি, বিজেপির আশ্রিত কিছু গুণ্ডা বাহিনী এসে তৃণমূল কংগ্রেসে নেতাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা আলিপুরদুয়ার জেলাতে।
রবিবার কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশায় এনআরসি নিয়ে একটি মহামিছিল করে তৃণমূল, এই মিছিলের তৃণমূলের আধিপত্য দেখেই হামলা চালিয়েছে বিজেপি। কুমারগ্রাম ব্লকের সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় কামাখ্যাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যকরী সভাপতি পরিমল বিশ্বাস ও কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুশীল রায়ের উপর রাতের অন্ধকারে হামলা করে দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন:ভাঙন অব্যাহত কংগ্রেস, প্রাক্তন মন্ত্রীর পদত্যাগ এবার! দল ছাড়ার হিড়িক মহারাষ্ট্রে]
এই ঘটনায় গুরতর জখম হয় দুজন, কুমারগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় বলেন, একজন কর্মীর বাড়িতে সভা নিয়ে মিটিং সেরে জাতীয় সড়কে আসার সময় দশ-পনেরো জন যুবক ও মহিলাকে আক্রমণ করে, তাদের হাতে রড ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গাড়িটি লক্ষ্য করে ঘেরাও করে হামলা চালায় এরপরই গাড়ি ভাঙচুর করে। দুজন আহত হয়েছেন তাঁদের কামাখ্যাগুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
তারপর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় রাতেই কামাখ্যাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কুমারগ্রাম ব্লক জুড়ে আলোচনার মূখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কি হবে।