একুশের নির্বাচনের আগে ‘পদত্যাগ’ লক্ষ্মীরতনের! হাওড়ার সভাপতি পদে এবার কে, জল্পনা
একুশের আগে রদবদলের পর থেকেই হাওড়া তৃণমূলে গন্ডগোল শুরু হয়েছে। অরূপ রায়কে সরিয়ে ক্রীড়াব্যক্তিত্ব লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে বসানো হয়েছিলেন সভাপতি পদে। আর জেলা তৃণমূলের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরের অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন দুই পদে।


নিরপেক্ষকে সভাপতির পদে বসিয়ে সমন্বয়ের চেষ্টা
একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন করে সংগঠন সাজানোর চেষ্টা করেছিল। যেহেতু অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধী রয়েছে, তৃতীয় একজন নিরপেক্ষকে সভাপতির পদে বসিয়ে সমন্বয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগেই সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা।

হাওড়া জেলা শহর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা লক্ষ্মীর
লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পাশাপাশি ছেড়েছেন হাওড়া জেলা শহর তৃণমূলের সভাপতিত্ব। এই অবস্থায় মন্ত্রিত্ব ছাড়ার থেকেও বড় ক্ষতি হাওড়া জেলা শহর সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া। জেলার তৃণমূলে্র কাণ্ডারি তিনি। এখন তাঁর জায়গায় নতুন কে দায়িত্ব নেবেন, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলে।

লক্ষ্মীরতনের জায়গায় কে বসবেন সভাপতির আসনে
লক্ষ্মীকে সভাপতির আসনে বসিয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল মন্ত্রী অরূপ রায়কে। আর এক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলা কো-অর্ডিনেটর পদে বসানো হয়েছিল। এখন তৃণমূলকে চটজলদি সিদ্ধান্ত নিতে হবে লক্ষ্মীরতনের জায়গায় কে বসবেন সভাপতির আসনে। আবার কি অরূপ রায়কে ফিরিয়ে আনা হবে, নাকি রাজীবের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে?

জেলা তৃণমূল অরূপ রায়কে অভিভাবক মানে
অরূপ রায় জেলা তৃণমূলের অভিভাবক, এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই। জেলায় তাঁর প্রভাব অনেক বেশি। এমনকী গ্রামীণ হাওড়াতেও অরূপ রায়ের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। জেলা তৃণমূল অরূপ রায়কে অভিভাবক মানে। এমতাবস্থায় যুব তৃণমূল থেকে তরুণ তুর্কি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরোধী শিবিরে থেকেছেন বরাবর।

রাজীব এই মুহূর্তে তৃণমূল সংগঠনে এক উজ্জ্বল মুখ
তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে তৃণমূল সংগঠনে এক উজ্জ্বল মুখ, জনপ্রিয়ও। তার থেকেও বড় কথা তিনি একজন স্বচ্ছ মুখ হিসেবে পরিচিত। এই পরিস্থিতিতে দল কার উপর ভরসা রাখে, সেচা দেখার। এই জেলায় লক্ষ্মী ছাড়াও আরও এক ক্রীড়াব্যক্তিত্ব প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে, রয়েছেন ডালমিয়া-কন্যা বৈশালীও।

নতুন হাতে কতটা সক্রিয় হতে পারবে তৃণমূল
তৃণমূল নেতৃত্ব এই স্বল্প পরিসরে লক্ষ্মীরতন শুক্লার পরিবর্ত খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে। কারণ নির্বাচন আর মাত্র তিনমাস দূরে। তার আগে নির্ভরযোগ্য হাতে তুলে দিতে হবে দায়িত্ব। নতুন হাতে কতটা সক্রিয় হতে পারবে তৃণমূল, সেটাই এখন দেখার। সেইসঙ্গে কার উপর ভরসা রাখে তৃণমূল এবং তিনি কীভাবে দল পরিচালনা করেন, তার উপর নির্ভর করবে জেলা তৃণমূলের ভাগ্য।
লক্ষ্মীর ইস্তফায় নেগেটিভ কিছু নেই, খেলার কারণেই রাজনীতি ছাড়তে চান, জল্পনায় ইতি টানলেন মমতা