ভোটের নামে প্রহসন, অবাধ সন্ত্রাস ত্রিপুরা জুড়ে! পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল
পুরসভা নির্বাচন ঘিরে অবাধ সন্ত্রাস। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর লাগাতার আক্রমণ। শুধু তাই নয়, ছাড় দেওয়া হয়নি তৃণমূল প্রার্থীদেরকেও।
পুরসভা নির্বাচন ঘিরে অবাধ সন্ত্রাস। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর লাগাতার আক্রমণ। শুধু তাই নয়, ছাড় দেওয়া হয়নি তৃণমূল প্রার্থীদেরকেও। আগরতলায় ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তপন বিশ্বাসকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। মারের চোটে ২টি চোখই নষ্ট হতে বসেছে।
পুর নির্বাচনকে ঘিরে অবাধ সন্ত্রাস। আর তাই ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে মামলা করবে তাঁরা।
কার্যত একই অভিযোগ বামেদেরও। তাঁদেরও একাধিক প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের। ইতিমধ্যে তাঁরাও নির্বাচন কমিশনের কাছে একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
ত্রিপুরাতে পুর নির্বাচন এবার তৃণমূলের কাছে কার্যত ছিল অ্যাসিড টেস্ট। আর তাই দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে টানা মাটি কামড়ে পড়ে ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। সেখানে দাঁড়িয়ে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ বিজেপিও। কার্যত প্রেস্টিজিয়াফ ফাইট ছিল বিপ্লব দেবের কাছে। আর এই পরিস্থিতি পুরভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই অবাধ সন্ত্রাসের ছবি উঠে আসতে দেখা যায়।
ত্রিপুরার একাধিক বুথে অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। ৭, ৮, ৯, ১০ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ভোটারদের ভয় দেখানো সহ অবাধ ছাপ্পার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। কার্যত দিনভর দাপিয়ে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিরা। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল এবং বামেদের।
যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ভোট চলাকালীন নজিরবিহীন ভাবে ত্রিপুরাতে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দু'কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয় সেখানে। কিন্তু এরপরেও সন্ত্রাস বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। আর তাই গোটা ভোট প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আগামীকাল শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হচ্ছে তৃণমূল। আদালতের কাছে একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে সুপ্রিম হস্তক্ষেপও তৃণমূলের তরফে দাবি করা হবে। এমনটাই সুত্রে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। যেভাবে বিজেপি সেখানে সন্ত্রাস চালাতে এই অবস্থায় ভোট হওয়া সম্ভব নয়। আর তাই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এহেন আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, "গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় নির্বাচন স্থগিত রাখাটা একটি চরম পদক্ষেপ। একদম শেষ পদক্ষেপ এটা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করে আদালত।