তৃণমূল কংগ্রেস জালিয়াতদের দল, ভাইয়ের প্রসঙ্গ টেনে জবাব রাহুলের
সোমবার শহীদ মিনার ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভা ছিল। আসবেন বলেও শেষ মুহূর্তে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম প্রমুখ ছিলেন। এখানে বিজেপি নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করার পাশাপাশি আরও একটি কাজ করেন তৃণমূল নেতারা। তা হল, রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহার ভাই সুদীপ সিনহাকে তৃণমূল কংগ্রেসে শামিল করানো। তাঁরা বলেন, বিজেপির ঘর ভেঙে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দিলেন।
এর পাল্টা হিসাবে এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুলবাবু। বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকেই আমার ভাই ওই দলের সদস্য। নিষ্ক্রিয় নয়, সক্রিয় সদস্য। দলের পতাকা নিয়ে ঘোরা, ঝান্ডা লাগানো, মিছিলে যাওয়া সবই করে। যে লোকটি দলের জন্মলগ্ন থেকে সদস্য, সে আবার দলে যোগ দেয় কী করে? আসলে রাহুল সিনহা নিজের ঘর সামলাতে পারছেন না, এই বার্তা দিতেই ওরা আমার ভাইকে দলে টেনে নেওয়ার নাটক করল। এ বার নিশ্চয় মানুষ বুঝতে পারবেন যে, পার্টিটা জালিয়াতদের পার্টি।"
অন্যদিকে, এ দিন নয়াদিল্লিতে সংসদ ভবনের সামনে তৃণমূল সাংসদরা লাল রঙের ডায়েরি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তার ওপরে কালো রং দিয়ে লেখা ছিল সাহারা। তাঁদের অভিযোগ, সাহারার দফতরে তল্লাশি চালানোর সময় এটা সিবিআই উদ্ধার করেছে। তাতে অমিত শাহের পাশাপাশি 'এনএম' বলে একটি নাম রয়েছে। এই 'এনএম' হল নরেন্দ্র মোদী।
এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে বিজেপি। বেঙ্কাইয়া নাইডু, চন্দন মিত্র থেকে শুরু করে রাহুল সিনহা সবাই বলেছেন, সারদা-কাণ্ডে চাপে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এ সব বাজে অভিযোগ করছে। মিডিয়ার সামনে হইচই না করে তথ্যপ্রমাণ হাজির করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, এমনই দাবি তুলেছে বিজেপি।