তৃণমূল কি সাসপেন্ড করছে ২ সাংসদকে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরই পদক্ষেপে জল্পনা
তৃণমূল কি সাসপেন্ড করছে ২ সাংসদকে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরই পদক্ষেপে জল্পনা
তৃণমূল এবার দুই সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে চলেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটে অংশ নেওয়ায় তৃণমূল দুই সাংসদকে ফের চিঠি পাঠাল। রবিবার তৃণমূলে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে সতর্ক করেন তাঁদের। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সাংসদদের বিরুদ্ধে এবার কড়া অবস্থান নিতে পারে তৃণমূল।
শিশির ও দিব্যেন্দুকে নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলে
তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর অবস্থান নিয়ে অনেকদিন ধরেই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল তাঁদেরকে নিয়ে সন্দিগ্ধ। যদিও শিশির ও দিব্যেন্দু মাঝেমধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলেই রয়েছেন। দলত্যাগ তাঁরা করেননি। দল না মানলেও তাঁরা দলের অনুগত সৈনিক।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর শিশির-বার্তা
সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন তাঁরা দলের মনোনীত প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। দলের তরফে কোনও আমন্ত্রণা না জানানোয় সংসদ ভবনে গিয়ে তাঁরা ভোট দেন। শিশির অধিকারী বলেন, তিন দলীয় প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর মতে সেরা প্রার্থী এনডিএ-র দ্রৌপদী মুর্মুই। আবা তখনই বলেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি ভোট দেবেন দল যাঁকে বলবে তাঁকেই।
তৃণমূলের চিঠিতে আবেদন দুই সাংসদকে
শিশির অধিকারীর সেই বক্তব্যের পর তৃণমূল চিঠি দেয় তাঁদের। দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, তৃণমূল কংগ্রেস উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকছে। কিন্তু সেই চিঠি উপেক্ষা করে শিশির ও দিব্যেন্দু উভয়েই ভোট দেন। এরপর তৃণমূল ফের চিঠি দিয়ে তাঁদের সতর্ক করে।
সাংসদ পদ খারিজের দাবিতে ফের চিঠি
আগেই শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়। লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে এদিন ফের শুনানির আবেদন করা হল। আর শিশির অধিকারীর পর দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতেও আবেদন করা হল।
তৃণমূল এবার কড়া অবস্থান নিতে চলেছে
তৃণমূল এদিন চিঠিতে উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোটদানের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে। জানানো হয়, উপরাষ্ট্রপতি পদে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত জানানোর পরও তা উপেক্ষা করে তৃণমূলের দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী ভোট দিয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। তা লক্ষ করেছে তৃণমূল। এই বলেই তৃণমূল বুঝিয়ে দেয় এবার তারা কড়া অবস্থান নিতে চলেছে।
নৈতিকতা হারিয়েছেন, ইস্তফা দেওয়া উচিত
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরই তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার তো অন্তত সাসংদ পদ থেকে তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত। দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ার পর আর তাঁদের নৈতিক অধিকার থাকে না সাংসদ হিসেবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদ ভবনে গিয়ে ভোট দেওয়ার পর শিশির অধিকারী যা-ই দাবি করুন না কেন, তা যে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁদের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নেওয়া অবস্থান।
সিবিআইয়ের মুঠোয় দেহরক্ষী, ফের হাজিরা এড়িয়ে কীসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কেষ্ট?