কংগ্রেস ও বিজেপির চার প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করা হোক, তৃণমূলের দাবিতে শোরগোল
কংগ্রেস ও বিজেপির চার প্রার্থী মনোনয়ন বাতিল করা হোক, তৃণমূলের দাবিতে শোরগোল
বিরোধী চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস। এই চারপ্রার্থীই উত্তরবঙ্গের। নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক তথা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ব্যাপারে বিরোধী শিবিরের দাবি হারের ভয়েই এইসব অভিযোগ তুলছে তৃণমূল।
তৃণমূলের অভিযোগ মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে
মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রাজেন সুনদাস। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে আনন্দময় বর্মনকে। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকের পদে কাজ করছেন। তিনি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার যতীন সিং স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক পদে রয়েছে। তিনি শিক্ষা দফতর, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিংবা স্কুলের পরিচালন সমিতির কাছে ভোটে লড়াইয়ের জন্য কোনও রকম অনুমতি নেননি। সাংবাদ মাধ্যমের কাছে এমনটাই দাবি করেছেন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার।
শিলিগুড়ির বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
শিলিগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী সদ্য সিপিএম ছেড়ে আসা শঙ্কর ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্র। তিনি শিলিগুড়ির বিবেকানন্দ উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষকের পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও তৃণমূলের তরফে আনন্দময় বর্মনের মতোই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অভিযোগ নির্দলপ্রার্থী নান্টু পালের বিরুদ্ধেও
শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র নান্টু পাল। তিনি তৃণমূলের তরফে শিলিগুড়ি বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও উত্তরবঙ্গে সরকারি নানা পদে ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় তিনি দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন জমা দেন। বুধবার তিনি কলকাতায় এসে বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ, শিলিগুড়ির কৃষ্ণমায়া হাইস্কুলের পরিচালন কমিটির সরকার মনোনীত সদস্য ছিলেন। সেই পদে ইস্তফা না দিয়ে তিনি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
কংগ্রেস প্রার্থী শংকর মালাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী শংকর মালাকার। তিনি গতবারের বিধায়কও বটে। তৃণমূলের অভিযোগ শংকর মালাকার জাল তফশিলি শংসাপত্র নিয়ে ভোটে লড়াই করছেন। তাদের আরও অভিযোগ এই জাল শংসাপত্র দিয়েই দুবার বিধায়ক হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শংকর মালাকারের দাবি, আদালতে মামলা চলছে। তিনি বলেছেন, এই কেন্দ্র থেকে ফের হারার ভয়েই এমন অভিযোগ তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভোট চলাকালীন নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ