মুকুলের হাত ধরে সিপিএমকর্মীদের বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক, ‘ব্যবস্থা’ নিল তৃণমূল
লাল ছেড়ে ওঁরা ধরেছিলেন গেরুয়া পতাকা। মুকুল রায়ের হাত ধরে সিপিএম থেকে বিজেপি হওয়ায় তাঁদের উপর রাগ গিয়ে পড়ল তৃণমূলের। সেজন্যই তাঁদের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হল বলে অভিযোগ।
লাল ছেড়ে ওঁরা ধরেছিলেন গেরুয়া পতাকা। মুকুল রায়ের হাত ধরে সিপিএম থেকে বিজেপি হওয়ায় তাঁদের উপর রাগ গিয়ে পড়ল তৃণমূলের। সেজন্যই তাঁদের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মুখে পড়তে হল বলে অভিযোগ। প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী তৃণমূলী সন্ত্রাসের শিকার হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে লুঠপাঠও চালানো হয়।
সিপিএম নয় পেটাল তৃণমূল
সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই রাগ-ক্ষোভ থাকতে পারে সিপিএমের। কিন্তু রাগ হল তৃণমূলের। সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার জন্য তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হতে হল গ্রামবাসীদের। বীরভঊমের মযূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের কোট গ্রামের ঘটনা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির যথার্থ পরিচায়ক বলে মনে করছে রাজনৈতি মহল।
বিজেপির তোপ তৃণমূলকে
সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর তৃণমূলের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির তোপ, তৃণমূল এখন ভয় পাচ্ছে বিজেপিকে। তাই সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলের রাগ গিয়ে পড়ছে গ্রামবাসীদের উপর। বিজেপির বৃদ্ধিতে তটস্থ তৃণমূল শিবির। তাই সন্ত্রাস শুরু করেছে এলাকায়।
বিজেপিতে যোগদানের পরই ‘ব্যবস্থা’
১৮ নভেম্বর বীরভূমের মল্লারপুরে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে পাঁচ শতাধিক সিপিএমকর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। অভিযোগ, এরপরই তাঁগের নাম বাদ দেওয়া হয় একশো দিনের কাজের তালিকা থেকে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় শাসানি। সেই শাসানিই সন্ত্রাসের রূপ নেয় তারপর।
পরিস্থিতি চরমে উঠল
বৃহস্পতিবার রাতে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। গভীর রাতে বিজেপিতে যোগ দেওয়া পরিবারগুলিতে ঢুকে যথেচ্ছ অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর-লুঠপাট চলে। অকু শেখ, সানোয়ার শেখের বাড়িতে তাণ্ডব তলে। এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মী নাসিম শেখ ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ব্যাপক বোমাবাজি চলে। বোমার আঘাতে চারজন গ্রামবাসী গুরুতর আহত হন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের অন্দরেই চিনা দূতাবাসে হামলা, নিহত ২ পুলিশ, ৩ জঙ্গি]