সঙ্কটে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জেলার হাসপাতালগুলিতে নষ্ট হচ্ছে একাধিক প্রাণদায়ী ওষুধ
সঙ্কটে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, জেলা হাসপাতালে নষ্ট হচ্ছে একাধিক প্রাণদায়ী ওষুধ
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই অন্যান্য রোগীদের আগমন গত কয়েক মাসে অনেকটাই কমেছ। গ্রামীণ হাসপাতাল গুলিতে নতুন রোগী নেই বললেই চলে। একই সাথে এই সমস্ত হাসপাতালগুলিতে অনেক জীবনদায়ী ওষুধই অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
নষ্ট হতে প্রচুর সরকারি অর্থ
সূত্রের খবর, এর মধ্যে অনেক ওষুধেরই মেয়াদ প্রায় শেষের পথে। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই জেলা হাসপাতাল গুলিও রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগকে বিপুল পরিমাণ ওষুধের মেয়াদ শেষ হওয়ার ব্যাপারে সতর্কও করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ওষুধ গুলির ব্যবহার হলে প্রচুর পরিমাণ সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগে চিঠি আসানসোল জেলা হাসপাতালের
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল জেলা হাসপাতাল কর্তৃক স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, "করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক ও লকডাউনের জেরে বর্তমানে হাসাপাতালের সমস্ত বিভাগেই রোগীদের আগমণ অনেকটাই কমে গেছে। তার ফলে ওষুদের বিক্রিও অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। ফলস্বরূপ অনেক ওষুধই স্টোর রুমে পড়ে পড়ে ক্রমেই নষ্ট হচ্ছে।"
তালিকায় রয়েছে কোন কোন ওষুধ ?
এই সমস্ত ওষুধের মধ্যে হৃদপিন্ডের সমস্যা, ম্যালেরিয়া, প্রসব যন্ত্রণা এবং পেপটিক আলসার দ্বারা আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সার জন্য এম্পুলস, , ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন ধরণের ইনজেকশনের টিউব, একাধিক ড্রপস এবং লোশনও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যানাস্থেসিয়ার ওষুধ এবং চোখের ড্রপও রয়েছে। ডোবুটামিন এবং দোব্রামাইসিনের মতো কিছু ওষুধের স্টক জুনে শেষ হতে চলেছে বলে খবর।
এক চিত্র দক্ষিণ দিনাজপুরেও
এদিকে অন্য একটি চিঠিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপারও স্বাস্থ্য বিভাগকে ওষুধের মেয়াদ শেষের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগকে সতর্ক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন প্রাণদায়ী ওষুধও বর্তমানে মেয়াদের শেষের কাছাকাছি চলে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আজ থেকে বন্ধ চেতলা ও বিজন সেতু, জেনে নিন কোন পথে যান চলাচল